বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার মে মাসের মনিটরিং-এ পাওয়া তথ্য-উপাত্ত থেকে দেখা যায়, মে মাসে সারা দেশে আত্মহত্যা করেছে ৫৪ জন । এদের মধ্যে ২০ জন পুরুষ ও ৩৩ জন নারী ও ১ জন শিশু। পারিবারিক দ্বন্দ্ব, প্রেমে ব্যর্থতা, অভিমান, রাগ ও যৌন হয়রানী, পরীক্ষায় খারাপ ফল, এমনকি পছন্দের পোষাক কিনতে না পারার কারনেও আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়। ঢাকা বিভাগে আত্মহত্যার ঘটনা সবচেয়ে বেশী।
গত মাসে মোট ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৭৪ জন নারী ও শিশু । এদের মধ্যে শিশু ৩২ জন। ২৮ জন নারী। ১২ জন নারী গণ ধর্ষণের শিকার হন ও ২ জনকে ধর্ষনের পর হত্যা করা হয়। গত পাঁচ মাসের মধ্যে এই মে মাসেই ধর্ষণের সংখ্যা সবচেয়ে বেশী। এই মাসে সভারে গণ ধর্ষণের শিকার হয় এক পোষাক শ্রমিক। যশোরে এক হোটেল কর্মীকে গণ ধর্ষণের পর হত্যা করে তিন কিশোর।
মে মাসে ২৭ শিশু হত্যাকা-ের শিকার হয় । নির্যাতনের শিকার হয় ৪৯ জন। এদের মধ্যে পিতা মাতা কর্তৃক খুন হয় ৪ শিশু। ময়মনসিংহের ত্রিশালে এক সঙ্গে ৪২ শিশুর চুল কেটে দেয় এক স্কুল শিক্ষক। নাটোরে আড়াই বছরের এক শিশুকে হত্যা করে প্রতিবেশী।
গত মাসে যৌতুকের কারনে প্রাণ দিতে হয়েছে ৫ জন নারীকে। পারিবারিক সদস্যদের মধ্যে দ্বন্দ্ব, রাগ, পরকীয়া সহ বিভিন্ন পারিবারিক কারণে মে মাসে নিহত হন ৪৬ জন, এদের মধ্যে পুরুষ ১৮ জন, নারী ২৮ জন। এদের মধ্যে স্বামীর হাতে নিহত হন ১৯ জন নারী। আর স্ত্রীর হাতে নিহত হন ৮ জন স্বামী।
সামাজিক অসন্তোষের শিকার হয়ে এই মাসে নিহত হয়েছেন ১৮ জন। এছাড়া সন্ত্রাসী কর্তৃক নিহত হন ৪৫ জন । আহত হয় ৬৩ জন। চট্ট্রগ্রামে নিজ বাড়ির সামনে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা ।
অন্যান্য সহিংসতার ঘটনার মধ্যে মে মাসে ২ জন এসিড নিক্ষেপের শিকার হয়। মাদকের প্রভাবে বিভিন্ন ভাবে নিহতের সংখ্যা ৩জন, আহত হয় ৩ জন। সড়ক দূর্ঘটনায় এ মাসে নিহত ১৮৫ ও আহত ৩৮৯ জন। তাছাড়া পানিতে ডুবে, অসাবধানবশত, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে, বজ্রপাতে মৃত্যুবরণ করেছে ৬৬ জন। গণপিটুনিতে নিহত হয় ২ ,আহত হয় ৩ জন। চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় মৃত্যু হয় ৪ জনের। জঙ্গি ও সন্ত্রাসী দমন অভিযানের নামে গণগ্রেপ্তার করা হয় ২২৮ জনকে।