‘ট্রাস্ট উইমেন হিরো অ্যাওয়ার্ড ২০১৪’ পেয়েছেন ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারপারসন স্যার ফজলে হাসান আবেদ। লিঙ্গ বৈষম্য দূর, নারীসমাজের সামাজিক, আর্থিক সক্ষমতা নির্মাণে নিরলস কাজ করে যাওয়ার স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
গত ১৮ নভেম্বর লন্ডনে অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী ট্রাস্ট উইমেন কনফারেন্সের প্রথম দিন তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন জর্ডানের রানী নূর আল-হোসেইন। ফজলে হাসান আবেদের পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন ব্র্যাক ইউকের কাউন্সিল অব ট্রাস্টির চেয়ারপারসন সিমন সুলতানা। আল জাজিরার নারী সাংবাদিক চিকা জধুয়া সাংবাদিকতায় একই পুরস্কার অর্জন করেন। প্রতি বছর থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ট্রাস্ট উইমেন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
মূলত নেতৃত্ব দান, সংগঠণ বিকাশে সক্ষম এবং বিশ্বব্যাপী নারী অধিকার রক্ষার পথে প্রতিবন্ধকতা দূর করতে বলিষ্ঠ সমাধান দিতে পারেন এমন ব্যক্তিকেই পুরস্কারের জন্য মনোনিত করা হয়। ৫ হাজার ডলার সম্মাননা ছাড়াও ট্রাস্ট উইমেনের ওয়েবসাইটে পুরস্কার পাওয়া ব্যক্তির প্রোফাইল সংরক্ষিত থাকে।
এ পুরস্কারের জন্য এ বছর বিশ্বের ৪৫টিরও বেশি দেশের দেড় শতাধিক ব্যক্তি মনোনয়ন পেয়েছিলেন। এর মধ্য থেকে ট্রাস্ট উইমেনের ১৩ সদস্যবিশিষ্ট অ্যাডভাইজরি বোর্ড স্যার ফজলে হাসান আবেদকে নির্বাচন করেন। অ্যাডভাইজরি বোর্ডের সদস্যদের মধ্যে ছিলেন আফগান ইনডিপেনডেন্ট হিউম্যান রাইটস কমিশনের চেয়ারপারসন ড. সীমা সামার, যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক নারী উন্নয়ন বিষয়ক অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ ক্যাথি রাসেল, চেরি ব্লেয়ার ফাউন্ডেশন ফর উইমেনের প্রতিষ্ঠাতা চেরি ব্লেয়ার, অশোকা গ্লোবালের ভাইস প্রেসিডেন্ট ইমান বিদ্রাস প্রমুখ।
উল্লেখ্য, প্রায় ৪৫ বছর ধরে একাগ্রচিত্তে নারীসমাজের সামাজিক, আর্থিক সক্ষমতা নির্মাণে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন স্যার ফজলে হাসান আবেদ। তার প্রতিষ্ঠিত ব্রাক বিশ্বের বৃহত্তম বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা হিসেবে দারিদ্র্য বিমোচনে আন্তর্জাতিকভাবে অবদান রাখছে। ১২টি দেশের সাড়ে ১৩ কোটি মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন এর লক্ষাধিক কর্মী।
স্যার ফজলে হাসান আবেদ ২০১০ সালে নাইট উপাধিসহ নানা পুরস্কারে ভূষিত হন। চলতি বছর তিনি ফরচুন বিশ্বের সেরা ৫০ নেতৃত্বের তালিকায় ৩২তম নির্বাচিত হন।