ভারতের ছুঁড়ে দেয়া ৩২৫ রানের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নামা বাংলাদেশের শুরুটা ভালো হয়নি। মাত্র ২১ রানে ৪ উইকেট হারিয়েছে টাইগাররা। মাত্র ২ রানে ০যাদবের বলে কার্তিককে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সৌম্য সরকার। যাদবের ইনসুইঙ্গার রক্ষা করতে পারে নি আব্বিরকে। ০ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন সাব্বির। ওপেন করতে নামা ইমরুল কায়েস ধরে রেখেছিলেন একপাশ। কিন্তু ব্যক্তিগপত ৭ রানে তিনিও কুমারের বলে যাদবকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। ফলে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ৫ ওভারে ১১ রানে ৩ উইকেট। এরপরে সাকিব নামলেও তিনিও নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেন নি। ব্যাক্তিগত ৭ রানে যখন সাকিব ফেরেন তখন দলীয় স্কোর ২১।
দিনেশ কার্তিক ও পান্ডের অনবদ্য ৮০ রানের ইনিংসের ওপর ভর করে ৩২৪ রানের বড় স্কোর গড়েছে ভারত। ধাওয়ানের ৬০ রান এই স্কোর গড়তে সহযোগিতা করেছে ভালোই। জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ৩২৫ রান। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে রানের খাতাই খুলতে পারেননি দিনেশ কার্তিক। আর বাংলাদেশের বিপক্ষে হার মানেননি। নিজেকে মেলে ধরেছেন দারুণভাবেই। তাকে তো আউট করতে পারেনননি কোনো বাংলাদেশি বোলার। ব্যাট হাতে শাসন করেছেন কার্তিক। ফিফটি তুলে নিয়েছেন। এগোচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকেই। শেষ পর্যন্ত আর শতকের দেখা পাননি। সতীর্থদের ব্যাটিংয়ে সুবিধা করে দিতেই সেচ্ছায় অবসরে গেলেন কার্তিক। ক্রিজ ছাড়ার আগে নামের পাশে যোগ করেন ৯৪ রান।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে আসেন রুবেল হোসেন। বোলিং এসেই চমক দেখান তিনি। দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে রোহিতের স্ট্যাম্প উপড়ে ফেলেন রুবেল। মাত্র ১ রান করেই সাজঘরে ফিরে গেছেন রোহিত। দলীয় ৩ রানের মাথায় বিদায় নেন ভারতীয় এই ওপেনার। এরপর ইনিংসের সপ্তম ওভারের প্রথম বলে বোল্ড হন আজিঙ্কা রাহানে। কাটার মাস্টার মুস্তাফিজের দুর্দান্ত এই ডেলিভারিতে সাজঘরে ফেরার আগে রাহানের ব্যাট থেকে আসে ২১ বলে ১১ রান।
দলীয় ২২.৪ ওভারে ৬০ রান করা ধাওয়ানকে ফেরান স্পিনার সানজামুল ইসলাম। দিনেশ কার্তিকের সঙ্গে ১০০ রানের জুটি গড়া এ বাঁহাতিকে মেহেদি হাসান মিরাজের ক্যাচে পরিণত করেন সানজামুল। এরই সঙ্গে ভারতের তৃতীয় উইকেটের পতন হয়। দলীয় ১৯৬ রানের মাথায় বিদায় নেন কেদার যাদব। ৩৮ বলে ৩১ রান করে সানজামুলের বলে বোল্ড হন কেদার যাদব।
জাদেজা ৩২ রানে রুবেলের বলে সাকিবের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলয়নে ফেরেন, অশ্বিন ৫ রান করে রুবেলের শিকার হন। পান্ডে ৮০ রানে ১ রানে অপরাজিত থেকে ৫০ ওভারের খেলা শেষ