চট্টগ্রাম প্রতিনিধি ঃ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে ক্রমেই শক্তি সঞ্চয় করছে। প্রকৃতির এই রুদ্ররোষ মোকাবিলায় চট্টগ্রাম বন্দর ও বহির্নোঙরে পণ্য ওঠানামা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সোমবার আবহাওয়া অধিদপ্তর চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলার পর সতর্কতামূলক এই পদক্ষেপ নেওয়া হয় বলে বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ৭ নম্বর বিপৎসংকেতের পাশাপাশি চট্টগ্রাম বন্দরের নিজস্ব সর্তকর্তা সংকেত ‘অ্যালার্ট ৩’ জারি করা হয়েছে। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে জেটি ও বহির্নোঙরে জাহাজে পণ্য ওঠানো ও জাহাজ থেকে পণ্য খালাসের কাজ বন্ধ রয়েছে। তবে জাহাজ থেকে যেসব পণ্য আগে জেটিতে নামানো হয়েছিল সেগুলো ডেলিভারি দেওয়া হচ্ছে।
সকালের মধ্যেই চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে অবস্থানকারী মাদার ভেসেল থেকে লাইটার জাহাজে করে পণ্য খালাস করে বন্দরের জেটিতে এবং দেশের অন্যান্য স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। লাইটারগুলোকে (পণ্যবাহী ছোট জাহাজ) উজানের দিকে অবস্থান নিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি বন্দরের সব ভারি যন্ত্রপাতি এবং নিজস্ব জাহাজকে নিরাপদে রাখার কাজ শুরু হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র হুমকি থাকা সত্ত্বেও চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। সকাল থেকে শিডিউল মেনেই বিমান ওঠানামা করছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আগামীকাল মঙ্গলবার নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম শুরু করবে।