ঢাকা; বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি গত মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টির নামকরণ করা হয়েছে ‘মোরা’। কাল মঙ্গলবার সকালে এটি চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে ও তৎসংলগ্ন এলাকা থেকে কিছুটা উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে বাংলাদেশ উপকূলের ৫০০ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থান করছে। এই পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার উপকূলে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া পায়রা ও মোংলা বন্দরকে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ জানান, বিরাজমান ঘূর্ণিঝড়টি মঙ্গলবার ভোরে দেশের চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে। এসময় এর গতিবেগ ঘন্টায় ৮৮ কিলোমিটারের বেশি হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ জানান, বিরাজমান ঘূর্ণিঝড়টি মঙ্গলবার ভোরে দেশের চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে। এসময় এর গতিবেগ ঘন্টায় ৮৮ কিলোমিটারের বেশি হতে পারে।
তিনি বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন মধ্য-বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড়টি সামান্য উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে সোমবার রাত ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭১৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে পরবর্তী ছয় ঘণ্টার মধ্যে তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে বাংলাদেশ উপকূলের ৫০০ কিলোমিটারের মধ্যে চলে এসেছে।
আবহাওয়ার সবশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাগর উত্তাল রয়েছে।
আবহাওয়ার সবশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাগর উত্তাল রয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে