মশাবাহিত জিকা ভাইরাস এই প্রথমবার ধরা পড়ল ভারতে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) সূত্রে শনিবার জানানো হয়েছে, ভারতের আহমেদাবাদে ৩ জন মশাবাহিত জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে একজন অন্তঃসত্ত্বা নারীও আছেন। পার্শ্ববর্তী দেশ হওয়ায় জিকা আক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশও।
জিকা ভাইরাস সংক্রমণের প্রথম ঘটনাটি ধরা পড়ে গত বছর ফেব্রুয়ারিতে। দ্বিতীয় ঘটনাটি গত নভেম্বরে। শেষ জিকা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে এ বছর জানুয়ারিতে। গত ১৫ মে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) কাছে যে রিপোর্ট পাঠিয়েছে, তা থেকে জানা যায় যে ৩ জনের শরীরে জিকা ভাইরাসের সংক্রমণ হয়েছে, তারা প্রত্যেকেই আহমেদাবাদের বাপুনগরের বাসিন্দা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সূত্রে খবর, বিজে মেডিক্যাল কলেজে র্যানডম পরীক্ষা করার সময়ই জিকা আক্রান্ত ৩ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ২ জন নারী। একজনের বয়স ৩৪, অন্য জনের ২২। ২২ বছর বয়সী সেই নারী আবার গর্ভবতী। তৃতীয় জন ৬৪ বছর বয়সী একজন বৃদ্ধ। আক্রান্ত ৩ জন কী অবস্থায় রয়েছে, সে সম্পর্কিত খবর কারও কাছেই নেই।
২০১৫ সালের মাঝামাঝিতে ব্রাজিলে জিকা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব হয়। ওই বছর নভেম্বরে দেশ জুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে ব্রাজিল সরকার। ২০১৬ সালে ব্রাজিল অলিম্পিকের সময় জরুরি অবস্থা সর্বোচ্চ অবস্থায় ছিল। গত বছর নভেম্বরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তাদের আন্তর্জাতিক জরুরি অবস্থা তুলে নেয়।
ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার মতো জিকাও ছড়ায় এডিস ইজিপ্টি মশা থেকে। আক্রান্ত্রদের মধ্যে হালকা জ্বর, গায়ে র্যাশ, পেশি ও গাঁটে ব্যথা, মাথার যন্ত্রণা, কনজাংটিভাইটিস ও অস্থিরতার মতো লক্ষণ দেখা যায়। গর্ভবতী নারী জিকা ভাইরাস আক্রান্ত হলে গর্ভের শিশুর মাইক্রোসেফালি (ছোট মাথা) হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায় বলে ধারণা বিজ্ঞানীদের।
-সূত্র: এই সময়