এরা সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। কাজ করে আর একটু খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। তারা জানেন না গনতন্ত্র, উন্নয়ন, রাজনীতি, অর্থনীতি কাকে বলে। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের সামনে মূর্তি স্থাপন ও সরানোর ফলে কি হয় তা, তো তাদের জানার আওতায়ও পড়ে না। টক কখন জাল হয় আর কখন মিষ্টি হয় তাও তারা জানেন না। কারণ এক মুঠো মোটা চালের ভাত আর প্রাকৃতিকভাবে জন্ম হওয়া তরকারী খেয়ে তাদের জীবন বাঁচে। তাই টক জাল মিষ্টি তাদের কপালেও জোটে না।
এই খেটে খাওয়া মানুষ গুলো বলছেন, তারা শুধু একটু ডাল ভাত খেয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে চান। আশার মধ্যে আনন্দ উৎসবে ভরা ভোট উৎসব তাদের একটি বড় চাহিদা। ভোটের পর মৃত্যুটি যেন স্বাভাবিক হয় এই আশাও তাদের। কিন্তু আমাদের বিধিবাম। ওই সব মৌলিক চাহিদার অনেকটাই এখন অস্পষ্ট হয়ে গেছে। পরিস্থিতি বলছে, যতদিন যাবে চাহিদুগুলোর প্রাপ্তী ততই ক্ষীন হয়ে আসবে।
তৃনমূল পর্যায়ের ওই সব খেটে খাওয়া রাষ্ট্রের মালিকেরা বলতে পারেন, কোরান শরীফ পুঁড়ানোর অভিযোগ করে যাকে তেঁতুল হুজুর বললেন প্রধানমন্ত্রী, তাকেই এখন আবার মিষ্টি হুজুর বলছেন কেন? টক থেকে জাল এখন আবার মিষ্টি এটা কেমন হল, এই প্রশ্নটাই এখন সাধারণ মানুষের না বলা কথায়। বায়তুল মোকাররমের সামনে যারা তান্ডব করলেন তারাই এখন একই জায়গায় আনন্দ মিছিল করলেন। আর যারা তান্ডবের প্রতিবাদ করলেন তাদের মিছিলে হামলা হল ও গ্রেফতারও হতে হয়েছে। এটা কেমন হল? এই প্রশ্ন তাদের থাকতেই পারে। তবে ওই মানুষগুলো ক্ষুদার্থ পেটে থাকায় তাদের মাথায় রাষ্ট্রীয় চিন্তা ঢুকতে পারে না। যদি ঢুকে যায় তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক নাও থাকতে পারে।
তবে সাধারণ মানুষ বলছেন, তারা একটি সুন্দর রাষ্ট্রীয় কাঠামো চায়। যেখানে মানুষের মৌলিক অধিকার সংরক্ষন করা হবে। যে কোন সরকার মৌলিক অধিকারের প্রশ্নে অটুট থাকবে। আর সেটাই হবে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সফল বাস্তবায়ন। ক্ষমতায় থাকতে আর ক্ষমতায় যেতে রাষ্ট্রের মৌলিক অধিকার টক-জাল আর মিষ্টি হউক এমনটি প্রত্যাশা হওয়া উচিত নয়।
ড. এ কে এম রিপন আনসারী
এডিটর ইনচীফ
গ্রামবাংলানিউজটোয়েন্টিফোরডটকম