জকিগঞ্জের ইউ/পি চেয়ারম্যানের সীমাহীন দূর্নীতি

Slider রাজনীতি সিলেট

received_1832426833740634

সিলেট প্রতিনিধি :: সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার  ৩ নং কাজলশাহ’র রায়গ্রামের শ্রী প্রফুল্ল পালের উত্তরাধিকারী সনদের জের ধরে-ইউ/পি সদস্য আব্দুছ সালামের সাথে চেয়ারম্যান জুলকর নাইন লস্করের অশালীন আচরণ করেন এসময় তাদের হুল্ল-চিৎকারে স্থানীয় জনতা উভয়দের পৃথক করে দেন।

এব্যাপারে ২ নং ওয়ার্ডের সদস্য ও মানবতাবাদী আব্দুস সালাম বলেন আমার ওয়ার্ডের শ্রী প্রফুল্ল পাল একটি উত্তরাধীকারী  সনদ পত্রের জন্য ইউনিয়নে আবেদন করলে সচিব কতৃক উত্তরাধীকারী সনদ পত্র তৈরি করে চেয়ারম্যান এর কাছে প্রেরণ করা হয়। পরবর্তীতে শ্রী প্রফুল্ল চেয়ারম্যান জুলকরনাইন লস্করের এর কাছে উত্তরাধিকারী সনদপত্র আনতে গেলে চেয়ারম্যান তাকে উত্তরাধিকারী না দেয়ায় সে আমার কাছে আসে।

আমি চেয়ারম্যানের নিজস্ব কার্যালয়ে গিয়ে সনদপত্রটি না দেয়ার কারণটি জানতে চাইলে তিনি অশালীন ভাষায় আমি ও প্রফুল্লর সাথে কথা বলেন। তারই এক পর্যায় দুজনের মধ্যে উচ্চস্বরে তর্কবিতর্ক হলে আমাকে প্রফুল্ল সহ অন্যরা পৃথক করে দেন।

অনুসন্ধানে জানা যায় চেয়ারম্যান বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে অসৎ উপায়ে উত্তরাধিকারী সনদপত্র বাবদ মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে থাকেন। এমনকি তার উপর বয়স্ক ভাতা,  বিধবা ভাতার অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

চারিগ্রামের  হারুন রশিদ জানান আমার চাচা আলহাজ্ব আব্দুল গণি বছর খানেক পূর্বে মারা যান, আমার চাচা মারা যাওয়ার পর চেয়ারম্যান আমার বাড়িতে এসে আমার চাচার বয়স্ক ভাতার কার্ড পরিবর্তন করে আমার নামে দেবে বলে ৫০০ পাঁচশত টাকা ফি সহ কার্ড টি নিয়ে যায়, কিন্তু দুঃখজনক হলো এক বছর হয়ে গেল বয়স্ক ভাতার কার্ড টি আমি পাইনি, তবে ব্যাংক সুত্রে জানতে পেরেছি যে আমার চাচার নামের বয়স্ক ভাতার কার্ডের টাকা চেয়ারম্যান অবৈধ পন্থায় আত্মসাৎ করে খাচ্ছেন।

শুধু তাই নয় কাজলাশাহ বড়বন গ্রামের মৎস্য  ব্যবসাহি আব্দুর রহমান  বলেন আমি গরিব মানুষ আমার জম্মনিবন্ধন কার্ড সংশোধনের  জন্য গিয়েছিলাম চেয়্যারম্যান সাহেবের কাছে। তিনি আমার কাছ থেকে ২৫০০ দুই হাজার পাঁচশত টাকা নিয়েছেন ।

রায়গ্রামের মর্তুজা আহমেদ বলেন আমার উত্তরাধিকারী সনদ পত্রের জন্য ৪০০০ চার হাজার  টাকা আমি নিজের হাতে দিয়েছি।

চেয়্যারম্যানের দুর্নিতী সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে স্থানীয় এক শিক্ষক+সাংবাদিক বলেন, এই দুর্নীতি শুধু দেশের কপালে কলঙ্কতিলকই পরায় না, অর্থনীতিরও সর্বনাশ করে। দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে এই সর্বগ্রাসী দুর্নীতি থেকে আমাদের মুক্তি পেতেই হবে। এদের মত মানুষদের জন্য বাংলাদেশ পর পর পাঁচবার বিশ্বে এক নম্বর বা শীর্ষ দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিল।

এরপর ধারাবাহিক প্রচেষ্টায় পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হলেও বাংলাদেশের সর্বশেষ অবস্থান দাঁড়িয়েছে ১৫ নম্বর, অর্থাৎ এখনো তলানিতেই পড়ে আছে।  এব্যাপারে চেয়ারম্যান এর সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তিনি মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

দুর্নীতিবাজ চেয়ারম্যানের হাত থেকে এলাকার সাধারন মানুষকে এসব অনিয়ম,দুর্নীতি ও আত্মসাৎ থেকে রক্ষার জন্য পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্থক্ষেপ কামনা করেন এলাকাবাসী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *