এর আগে ভারতীয় দল কোনো বিশ্বকাপ খেতাব ধরে রাখতে পারেনি। অর্থাৎ একবার জিতলে পরেরবারই তা হেরে বসতে হয়েছে। ১ জুন থেকে ইংল্যান্ডে শুরু হতে যাওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন হিসেবে লড়বে ভারত। এদিকে, ইতিহাসের কথা ভেবে শংকিত ভারতীয়রা, কিছুটা শংকিত তাদের খেলোয়াড়রাও। দল নিয়ে ইংল্যান্ড রওনা করার আগে এর রেশ ধরা পড়েছে টি-টুয়েন্টি কাপ্তান বিরাট কোহলির মুখে।
গত আসরে মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে ট্রফি জিতেছিল তারা। এদিকে ধোনির কাছ থেকে টি-টুয়েন্টির ক্যাপ্টেন্সি পাওয়ার পর থেকে বড় কোনো টুর্নামেন্টে বিরাটের যোগ্যতা যাচাইয়ের সুযোগ হয়নি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সেই মঞ্চ প্রস্তুত বলা যায়। কিন্তু ইতিহাস তো বলছে এর আগে কোনো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ট্রফিই ধরে রাখতে পারেনি তারা! বিরাট কি পারবেন নয়া ইতিহাস লিখতে?
ইংল্যান্ড যাত্রার আগে বৃহস্পতিবার দুরু দুরু বুকে বিরাটকে এই প্রশ্নটা করেই ফেললেন ভারতীয় সাংবাদিকরা। জবাবে বিরাট ধরলেন কূটনৈতিক কৌশল। এতেই বোঝা গেল তিনি এবং তার টিম আসলেই শংকিত। কোহলি বললেন, আমাদের উপমহদেশীয় খেলোয়াড়দের যেভাবে যাচাই করা হয়, পরখ করা হয়- তা কিছুটা না-ইনসাফির পর্যায়ে পড়ে। যখন বিদেশি খেলোয়াড়রা ভারতে এসে খারাপ খেলে তখন তা নিয়ে তেমন শোরগোল হয় না। কিন্তু ভারতীয় খেলোয়াড়রা যখন বিদেশ সফরে গিয়ে ফ্লপ মারে তখন তাদের ঘিরে যেমন পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়- তাতে মনে হয় যেন তাদের মাথার ওপর তলোয়ার ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে!
এসময় কোহলি আরও বলেন, আমি কোনো পাপমুক্তির জন্য না শুধু দেশের জন্য ক্রিকেট খেলি। এতে করে কোথায় খেলছি এটার মানে নেই আমার কাছে।
দুনিয়ার প্রায় সব ক্রিকেট মাঠেই বিরাটের কীর্তির ফুলঝুরি থাকলেও ইংল্যান্ডে তার পারফর্মেন্স তেমন শানদার নয়। বিষয়টি মুখে না বললেও এটিই বিরাট কোহলি ও তার দেশের মানুষকে ভাবিত করে তুলছে এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে। ইংল্যান্ডে খেলা ১৪টি ওয়ানডে ম্যাচে বিরাটের সংগ্রহ মাত্র ৪২৪ রান। গড় ৩৮। এরমধ্যে রয়েছে ২টি অর্ধশতক ও ১টি শতক। যদিও তার এমনিতে গড় রান ৫৩-এর অধিক।
আগামী ৪ জুন এজবাস্টনে চিরশত্রু পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে কোহলিদের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দৌড়। আর ১ জুন উদ্বোধনী ম্যাচ খেলেবে আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে সদ্য ৬ নম্বরে উঠে আসা বাংলাদেশ ও স্বাগতিক ইংর্যান্ড।