সবসময় হাসিখুশি আমুদে ছেলেটির মুখ থেকে গত কয়েকমাস যেন হাসি উবে গিয়েছিল। বিবিধ কারণে, বিভিন্ন বিতর্কে তাকে মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছে গত বছরের অক্টোবর থেকেই। একাদশে তো দূরের কথা, তাকে স্কোয়াডেই রাখা হতো না! এদিকে ঘরোয়া ক্রিকেটে বেশ ধারাবাহিক পারফর্মেন্স দেখিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। অবশেষে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজের শেষ ম্যাচে একাদশে ফিরলেন তিনি। দলকে বিপদেও ফেললেন; আবার বিপদ থেকে মুক্তির পথও বাতলে দিলেন! কিন্তু এরপরও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য তিনি স্ট্যান্ডবাই!
নাসিরকে নিয়ে গত বছর থেকেই নানা নেতিবাচক খবর আসে মিডিয়ায়। কোচ চন্দ্রিকা হাথুরুসিংহে এবং খোদ বিসবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের গুডবুকে তার জায়গা ছিল না। এদিকে ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত পারফর্ম করায় নাসিরকে নিয়ে ফেসবুকে সবসময় সরব ছিলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। এই অলরাউন্ডারকে কেন দলে নেওয়া হচ্ছে না- তা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। যা এখনও চলছেই। গতকালের ম্যাচে শুরুতেই ল্যাথামের ক্যাচ ফেলে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। নাসির কেবল একাই ক্যাচ ছাড়েননি। ছেড়েছেন অন্যরাও। কিন্তু কিউইরা যখন সাড়ে তিনশ রানের স্বপ্ন দেখছিল তখন বল হাতে সেই স্বপ্ন ভঙ্গ করেন নাসির। দুই বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান নেইল ব্রুম এবং ক্যাচ ছেড়ে জীবন দেওয়া সেই ল্যাথামকে প্যাভিলিয়নে পাঠান নাসির।
কিউইদের বিপক্ষে তার বোলিং ফিগার ছিল ৯ ওভারে ৪৭ রানে ২ উইকেট। ওই দুটি উইকেটের কারণেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ চলে আসে বাংলাদেশের হাতে। নতুন করে উদ্যম ফিরে পায় টাইগার বোলাররা। শুধু কি তাই? আয়ারল্যান্ডে যাওয়ার আগে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন ইমার্জিং টিম এশিয়া কাপে। এছাড়া ডিপিএলে ৪ ম্যাচে ১০৬*, ৪১*, ১৫* এবং ৬৪ রানের চারটি ইনিংস খেলেন। শেষ ম্যাচে ৩ উইকেট নিয়ে অলরাউন্ডার তকমার যথার্থতা প্রমাণ করেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার জন্য নাসিরের দরকার ছিল একটি সুযোগের। ক্যাচ মিসের আক্ষেপ ছাড়া গতকাল সেই সুযোগটি বেশ কাজে লাগিয়েছেন। দলও জিতেছে ৫ উইকেটে! কিন্তু এরপরও তাকে স্ট্যান্ডবাই থাকতে হচ্ছে?