ঢাকা: ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ গ্রহণকারীদের মামলা নিষ্পত্তিতে নতুন আইন করে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের কথা সরকার ভাবছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
বুধবার নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ সব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, আমরা একটি নতুন আইনের কথা ভাবছি, একটি ট্রাইব্যুনাল করা দরকার। সরকারি জমি উদ্ধার বা ভুয়া সনদ গ্রহণকারীদের ব্যাপারে স্বাভাবিক আইনে দ্রুত ফলাফল হয় না।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ যারা অবৈধভাবে দখল করে আসছে, ট্রাইব্যুনালে তার তাৎক্ষণিকভাবে সমাধান হয়। না হলে বিচারের দীর্ঘসূত্রিতায় জীবদ্দশায় নিষ্পত্তি হয় না। ট্রাইব্যুনাল করে পুরনো বিষয় নিষ্পত্তি করা দরকার।
মন্ত্রী বলেন, এত বেশি মামলা জমে গেছে যে, আদালতে গেলে দ্রুত নিষ্পত্তি পাওয়া যায় না। একটার পর একটা আপিল করার সুযোগ থাকে। ফলে, দীর্ঘসূত্রিতা তৈরি হয়। এ সমস্ত রাষ্ট্রীয় জরুরি ক্ষেত্রে সংক্ষিপ্তভাবে বিচারকাজ চালিয়ে সমাপ্ত করা যায় কিনা, সেটাই আমরা ভাবছি।
ট্রাইব্যুনাল হলে সেটা একটা বিশেষ ট্রাইব্যুনাল হবে, বলেন মন্ত্রী।
কতদিনের মধ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠিত হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আইন প্রণয়নের ব্যাপার আছে। কত লোক থাকে! ট্রাইব্যুনাল তো ১০/২০ জনের মধ্যে থাকে না।
কত সংখ্যক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আছে, তা ডিসেম্বর-জানুয়ারির মধ্যে জানা যাবে উল্লেখ করে মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, কেউ বলছেন লাখের অধিক। পত্রিকায় আসছে ৬০ বা ৭০ হাজার।
মন্ত্রী বলেন, সংখ্যাধিক্যের ওপর নির্ভর করছে ট্রাইব্যুনাল। সংখ্যায় অনেক হলে দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে। ‘মুক্তিযোদ্ধা’ মরে যাওয়ার পরে হবে না। মুক্তিযোদ্ধাদের কারো বয়স ৫৫ বছরের নিচে নয়। সবাই ন্যূনতম ৫০-এর ঊর্ধ্বে। তারা কত দিন আর বাঁচবেন! সে কারণে সবাই চাচ্ছেন, চূড়ান্ত তালিকা দ্রুত প্রণয়ন হোক। সে জন্য কাজ করছি। পরবর্তীতে বিচারের কাজ করা হবে।
এ পর্যন্ত তিন হাজারের ওপরে ‘মুক্তিযোদ্ধা’ সনদ বাতিল করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
মামলা করবে সরকার
মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও মিথ্যা তথ্য দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সনদ গ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করা হবে বলে জানান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী।
চার সচিবসহ ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ কথা জানান।
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, প্রধান সমস্যা হলো, অনেকে মুক্তিযুদ্ধ না করেও মিথ্যা বা অসত্য কাগজ জমা দিয়ে সনদ নিয়েছেন। প্রথম দায়িত্ব হলো- কারা ভুল তথ্য দিয়ে সনদ নিয়েছেন, এই কাজটা শেষ করা।
উদাহরণস্বরূপ মন্ত্রী বলেন, বাড়িতে আগুন লাগলে প্রথম কাজ আগুন নেভানো। এরপর কারা আগুন লাগানোর সঙ্গে জড়িত, তাদের খুঁজে বের করা।
আমাদের প্রথম কাজ, যারা অসত্য তথ্য দিয়ে সনদ গ্রহণ করেছেন, তাদের বের করা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এসব সনদ বাতিল করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। তারপর কারা এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন সেটা বের করবো। একসঙ্গে দুটো করলে তো দুটোই চলে যাবে।
তিনি বলেন, অন্যায় কাজের সঙ্গে যারা জড়িত ছিলেন তাদের চিহ্নিত করে জনসম্মুখে নিশ্চয়ই মুখোশ উন্মোচন করবো।
কতদিনের মধ্যে মামলা করা হবে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, অপেক্ষা করছি, তারা মামলায় যান কিনা। সনদ বাতিল করার বিষয়ে তারাও রিট করতে পারেন। এই সময় ক্ষেপণ করে অন্য ব্যবস্থায় যাবো।
সাধারণত ৯০ দিনের মধ্যে রিট বা মামলা করার সুযোগ থাকে বলে জানান মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
মুক্তিযোদ্ধার তালিকা হালনাগাদ করতে উপজেলা পর্যায়ে কমিটি গঠনের বিষয়ে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) সভায় সিদ্ধান্ত হবে বলে জানান মন্ত্রী।
বুধবার নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ সব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, আমরা একটি নতুন আইনের কথা ভাবছি, একটি ট্রাইব্যুনাল করা দরকার। সরকারি জমি উদ্ধার বা ভুয়া সনদ গ্রহণকারীদের ব্যাপারে স্বাভাবিক আইনে দ্রুত ফলাফল হয় না।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ যারা অবৈধভাবে দখল করে আসছে, ট্রাইব্যুনালে তার তাৎক্ষণিকভাবে সমাধান হয়। না হলে বিচারের দীর্ঘসূত্রিতায় জীবদ্দশায় নিষ্পত্তি হয় না। ট্রাইব্যুনাল করে পুরনো বিষয় নিষ্পত্তি করা দরকার।
মন্ত্রী বলেন, এত বেশি মামলা জমে গেছে যে, আদালতে গেলে দ্রুত নিষ্পত্তি পাওয়া যায় না। একটার পর একটা আপিল করার সুযোগ থাকে। ফলে, দীর্ঘসূত্রিতা তৈরি হয়। এ সমস্ত রাষ্ট্রীয় জরুরি ক্ষেত্রে সংক্ষিপ্তভাবে বিচারকাজ চালিয়ে সমাপ্ত করা যায় কিনা, সেটাই আমরা ভাবছি।
ট্রাইব্যুনাল হলে সেটা একটা বিশেষ ট্রাইব্যুনাল হবে, বলেন মন্ত্রী।
কতদিনের মধ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠিত হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আইন প্রণয়নের ব্যাপার আছে। কত লোক থাকে! ট্রাইব্যুনাল তো ১০/২০ জনের মধ্যে থাকে না।
কত সংখ্যক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আছে, তা ডিসেম্বর-জানুয়ারির মধ্যে জানা যাবে উল্লেখ করে মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, কেউ বলছেন লাখের অধিক। পত্রিকায় আসছে ৬০ বা ৭০ হাজার।
মন্ত্রী বলেন, সংখ্যাধিক্যের ওপর নির্ভর করছে ট্রাইব্যুনাল। সংখ্যায় অনেক হলে দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে। ‘মুক্তিযোদ্ধা’ মরে যাওয়ার পরে হবে না। মুক্তিযোদ্ধাদের কারো বয়স ৫৫ বছরের নিচে নয়। সবাই ন্যূনতম ৫০-এর ঊর্ধ্বে। তারা কত দিন আর বাঁচবেন! সে কারণে সবাই চাচ্ছেন, চূড়ান্ত তালিকা দ্রুত প্রণয়ন হোক। সে জন্য কাজ করছি। পরবর্তীতে বিচারের কাজ করা হবে।
এ পর্যন্ত তিন হাজারের ওপরে ‘মুক্তিযোদ্ধা’ সনদ বাতিল করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
মামলা করবে সরকার
মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও মিথ্যা তথ্য দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সনদ গ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করা হবে বলে জানান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী।
চার সচিবসহ ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ কথা জানান।
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, প্রধান সমস্যা হলো, অনেকে মুক্তিযুদ্ধ না করেও মিথ্যা বা অসত্য কাগজ জমা দিয়ে সনদ নিয়েছেন। প্রথম দায়িত্ব হলো- কারা ভুল তথ্য দিয়ে সনদ নিয়েছেন, এই কাজটা শেষ করা।
উদাহরণস্বরূপ মন্ত্রী বলেন, বাড়িতে আগুন লাগলে প্রথম কাজ আগুন নেভানো। এরপর কারা আগুন লাগানোর সঙ্গে জড়িত, তাদের খুঁজে বের করা।
আমাদের প্রথম কাজ, যারা অসত্য তথ্য দিয়ে সনদ গ্রহণ করেছেন, তাদের বের করা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এসব সনদ বাতিল করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। তারপর কারা এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন সেটা বের করবো। একসঙ্গে দুটো করলে তো দুটোই চলে যাবে।
তিনি বলেন, অন্যায় কাজের সঙ্গে যারা জড়িত ছিলেন তাদের চিহ্নিত করে জনসম্মুখে নিশ্চয়ই মুখোশ উন্মোচন করবো।
কতদিনের মধ্যে মামলা করা হবে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, অপেক্ষা করছি, তারা মামলায় যান কিনা। সনদ বাতিল করার বিষয়ে তারাও রিট করতে পারেন। এই সময় ক্ষেপণ করে অন্য ব্যবস্থায় যাবো।
সাধারণত ৯০ দিনের মধ্যে রিট বা মামলা করার সুযোগ থাকে বলে জানান মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
মুক্তিযোদ্ধার তালিকা হালনাগাদ করতে উপজেলা পর্যায়ে কমিটি গঠনের বিষয়ে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) সভায় সিদ্ধান্ত হবে বলে জানান মন্ত্রী।