দক্ষিণ চীন সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজ

Slider সারাবিশ্ব

66913_uss-

 

ঢাকা; দক্ষিণ চীন সাগরে চীনা দাবিকে চালেঞ্জ জানালো যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজ। প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতার মেয়াদে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ চীন সাগরে নির্মিত চীনের কৃত্রিম দ্বীপের চারপাশ প্রদক্ষিণ করেছে ওই যুদ্ধজাহাজ। এ খবর দিয়েছে অনলাইন সিএনএন ও বিবিসি। এতে বলা হয়, দক্ষিণ চীন সাগরে চীন কৃত্রিমভাবে নির্মাণ করেছে দ্বীপ মিসচিফ রিফ।
সেটি বিতর্কিত এলাকায় অবস্থিত। এ দ্বীপের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে চীনের হাতে।  এর ১২ মাইলের ভিতর দিয়ে ঘুরে গেছে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস ডিউয়ি। এসব তথ্য দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের একজন কর্মকর্তা। তিনি ওই অভিযানের বিস্তারিত জানাতে পারেন নি। তবে পেন্টাগনের মুখপাত্র ক্যাপ্টেন জেফ ডেভিস সিএনএন’কে বলেছেন, দক্ষিণ চীন সাগর সহ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আমরা প্রতিদিনের ভিত্তিতে অপারেশন পরিচালনা করি। তা করা হয় আন্তর্জাতিক আইন অনুসরণ করে। আমরা আকাশ পথে উড়ি, নৌপথে প্রদক্ষিণ করি বা অপারেশন চালাইÑ যেটাই করি তা আন্তর্জাতিক আইন অনুসরণ করেই করি। উল্লেখ্য, নৌ চলাচলের জন্য এটা একটি গুরুত্বপূর্ণ রুট। দক্ষিণ চীন সাগরের পুরোটাই নিজেদের মালিকানা বলে দাবি করে চীন। তারা প্যারাসেল ও স্প্রাটলি দ্বীপপুঞ্জও তাদের বলে দাবি করে। কিন্তু চীনের এই দাবির সঙ্গে ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম সহ অন্য অনেক দেশের রয়েছে বিরোধ। তা সত্ত্বেও চীন সরকার ওই সাগরের মাঝে তৈরি করেছে কৃত্রিম দ্বীপ। এর মধ্যে রয়েছে মিসচিফ রিপ। এগুলোতে মোতায়েন করেছে সামরিক সরঞ্জামাদি। ওই এলাকায় যুক্তরাষ্ট্রের এমন নৌ চলাচলকে এর আগে আন্তর্জাতিক আইনের মারাত্মক লঙ্ঘন বলে বর্ণনা করেছে চীন। তারা বলেছে, এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনা সৃষ্টিতে প্ররোচণা দিচ্ছে। তবে পেন্টাগন বলেছে, তাদের এমন অপারেশন বিশেষ কোন একটি দেশ বা কোন সুনির্দিষ্ট জলসীমার মধ্যে পরিচালিত হয় না। যুক্তরাষ্ট্র নিয়মিতভাবে নৌ চলাচলের স্বাধীনতা উপভোগ করে। তার অধীনে তারা দক্ষিণ চীন সাগরে অপারেশন পরিচালনা করে। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময়েও এমনটা হয়েছে। কিন্তু ক্ষমতার পালাবদলে মনে করা হয়েছিল চীনকে ক্ষেপানো থেকে বিরত থাকবে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। এ বছরের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী মুক্ত নৌ চলাচলের অপারেশন (ফ্রিডম অব নেভিগেশন অপারেশন) পরিচালনার অনুমতি চেয়েছিল। কিন্তু তাদেরকে অনুমতি দেয় নি পেন্টাগন। এর উদ্দেশ্য চীনকে না ক্ষেপানো। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিষয়ক একজন কর্মকর্তা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র-চীনের মধ্যে সম্পর্ককে স্বাভাবিক করার একটি প্রচেষ্টা ছিল সেটা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *