গোপালগঞ্জে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সংঘর্ষে আহত ১৫

Slider কৃষি, পরিবেশ ও প্রকৃতি খুলনা

10917893_1586310234843177_2785436532876773338_n

 

 

 

 

 

এম আরমান খান জয়,গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জ শহরতলীর বোড়াশীতে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে মহিলাসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। মারাত্মক আহত ৮ জনকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বোড়াশী পশ্চিমপাড়া গ্রামে এ সংঘর্ষে ঘটনা ঘটে।

গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ সেলিম রেজা জানিয়েছেন, বোড়াশী পশ্চিমপাড়া গ্রামে একটি বিরোধপূর্ণ জায়গা নিয়ে আয়ুব মোল্লা ও শাহাজাহান মোল্লার মধ্যে বিরোধ চলে আসছিলো। সোমবার সকালে ওই জায়গার বিরোধ মিটাতে সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সালিশ বৈঠাকের এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনায় জড়িয়ে পরে। এরই জেরে উভয় পক্ষ সালিশদারদের সামনে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় । এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়। গুরুতর আহত ৮ জনকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।পরবর্তি সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এই ব্যাপারে কোন পক্ষ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ এলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(ছবি আছে ছবি নং-১)
চাদা না দেওয়ায় প্যানেল চেয়ারম্যানে উপর সন্ত্রাসী হামলা
এম আরমান খান জয়,গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জের উপজেলার সিমান্তবর্তী কদমবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মিহির বৈদ্য (৩৫) ওপর হামলা চালিয়েছে অব্যাহিত চেয়ারম্যান বিধান বিশ্বাসের সন্ত্রসীরা বাহিনী। এলাকাবাসি সূত্রে যানা যায়, কদমবাড়ি ইউনিনের প্যানেল চেয়ারম্যান মিহির বৈদ্য উপর শনিবার বিকাল ৪টা দিকে কদমবাড়ি বাজারে তাকে হত্যার উদ্দেশে এই হামলা চালায় অব্যাহিত চেয়ারম্যানের সন্ত্রসীরা বাহিনী। তখন এলাকাবাসি তাকে উদ্দার করে বাসায় পৌছে দেয়। কদমবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মিহির বৈদ্য জানায়, দূর্নীতীর দায়ে অব্যাহিত চেয়ারম্যান বিধান বিশ্বাস তার সন্ত্রাসী বাহিনি দিয়ে আমার কাছে ৩ লক্ষ টাকা চাদা দাবি করে। এ চাদার টাকা আমি দিতে রাজি না হওয়ায় গত শনিবার বিকাল ৪ টার দিকে কদমবাড়ি বাজারে এলে তার সন্ত্রাস বাহিনী আড়–য়াকান্দি গ্রামের মুকন্দ রায়ের ছেলে অশিম রায় (৩৮) জয়দেব রায় এর ছেলে বিল্পপ রায় (৩৯) বড়খোলা গ্রামের মাহিন্দ্র বাড়ৈ ছেলে মনিমোহন বাড়ৈ কদমবাড়ি গ্রামের গোবিন্দ গাইনের ছেলে দীপু গাইন সহ আরো ৭ থেকে ৮জন আমার কাছে অব্যাহতী চেয়ারম্যানের দাবিকৃত চাঁদা টাকা দাবি করে। চাঁদা টাকা আমি দিতে রাজি না হওয়ায় আমার উপর হামলা চালায়। এসময় এলাকাবাসি আমাকে উদ্দার করে বাসায় পৌছে দেয়। তিনি আরও জানান বিভিন্ন দূরনিতির দায়ে হাই কোটের নির্দেশে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। অব্যাহতি হওয়ার পরেও তিনি তার সন্ত্রাস বাহিনী দিয়ে আমাকে জোর পূবক সাদা কাগজে সই করিয়ে চেয়ারম্যানি করছে। সেই সই করা কাগজ দিয়ে তার নিজেস্ব মেম্বারদের কাজ দিচ্ছে। ২ নং ওর্য়ডে মেম্বার হাবিবুর রহমানের নিতট হতে ৪ লক্ষ টাকা ও ৩ নং ওর্য়ডে মেম্বার আমির হোসেন নিকট হতে ১লক্ষ ৫০ হাজার নিয়ে ৪০ দিনের কর্মসূচি দেওয়া হয়। কিছু বলতে গেলে তার সন্ত্রাস বাহিনি দিয়ে আমাকে মারপিট করতে আসে। এঘটনার পরে আমি মাদারিপুর জেলা প্রশাসক কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করি। বর্তমানে আমি নিরাপত্তাহিন আছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *