তীব্র গরমে গত কয়েকদিন ধরেই অস্থির হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের জনজীবন। বিশেষ করে ঢাকা শহরে গরমের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে বাসিন্দাদের কাছে। বৃষ্টির প্রতীক্ষায় প্রহর গুণছেন তারা। অতিদ্রুত বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাসে জানিয়েছে, চলমান তাপপ্রবাহ আরো কয়েকদিন ধরে থাকতে পারে। পূর্বাভাসে দেখা যাচ্ছে, আজ সোমবার ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে প্রায় ৩৬ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া সকালের দিকে বাতাসের আর্দ্রতা থাকবে ৯৬ শতাংশ। অর্থাৎ বেশ গরম অনুভূত হবে। তবে বিকেলের দিকে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কমে ৫৬ শতাংশে নেমে আসবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেছেন, তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির নিচে থাকলে মাঝারি মাপের তাপপ্রবাহ বলে বর্ণনা করা হয়। বর্ষা মৌসুম শুরুর আগে এখন তাপমাত্রা আরো বৃদ্ধির দিকে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বাতাসের আর্দ্রতা, যা গরমের ভাবকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। বজলুর রশিদ আরো বলেন, “এ সময় সাধারণত গরম এ রকমই হয়। বৃষ্টি কম হয়, তাপমাত্রা বেশি থাকে। তাপমাত্রার সঙ্গে প্রচুর জলীয় বাষ্প থাকে। এ কারণে গরম বেশি অনুভূত হচ্ছে। ” তিনি জানান, এখন ঢাকা, খুলনা এবং বরিশাল বিভাগ পুরোটা হিট ওয়েভে বা তাপ প্রবাহের আওতায় রয়েছে।
এ ছাড়া রাজশাহী অঞ্চলের রাজশাহী, পাবনা এবং অন্যদিকে নোয়াখালী ও কুমিল্লায়ও হিট ওয়েভ রয়েছে। এখন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ডিগ্রি রয়েছে যশোর ও খুলনায়। এ ক্ষেত্রে ৪০ ডিগ্রির ওপর তাপমাত্রা হলে সেটিকে প্রবল তাপপ্রবাহ হিসেবে বর্ণনা করা হয়। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এখন যে তাপমাত্রা রয়েছে সেটি আগামী দুই থেকে তিন দিন বজায় থাকবে। এর উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন হবে না।
এ বছরটি অন্য বছরের চেয়ে ব্যতিক্রম ছিল বলে মনে করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। কারণ এবার মার্চ-এপ্রিল মাসে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। গত মাসে ২০০ শতাংশ বৃষ্টি বেশি হয়েছে। এখন তাপমাত্রা যেটি থাকার কথা তার চেয়ে দুই-তিন ডিগ্রি বেশি রয়েছে। এ মুহূর্তে বাংলাদেশের সিলেট ও দিনাজপুরে গরম অন্য জায়গার তুলনায় কিছুটা কম।