সৌদি আরব সফরে ট্রাম্পকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়েছে। এ সময় ঐতিহ্যবাহী তলোয়ার নাচের মাধ্যমে ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানানো হয়। ট্রাম্পের এটি প্রথম বিদেশ সফর।
এদিকে রক্ষণশীল সৌদি আরবে নারীদের মাথা ঢাকা পোশাক বা হিজাব পরার নিয়ম রয়েছে। বিদেশিদেরও সাধারণত এ নিয়মের ব্যতিক্রম দেখা যায় না। তবে সাম্প্রতিক সফরে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেলও একইভাবে কোনো মাথা ঢাকা পোশাক রাখেননি।
এবারের সফরে তার সঙ্গে রয়েছেন স্লোভেনিয়ায় জন্মগ্রহণকারী মেলানিয়া। তার স্লোভেনিয়ায় জন্ম হলেও তিনি থেকেছেন ফ্রান্স আর ইটালিতে। কাজেই আমেরিকায় বাইরে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা তার আছে। ট্রাম্পকে অভ্যর্থনা জানান, সৌদি রাজা সালমান।
এই সফরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট সৌদি আরবে ধর্ম বিষয়েও বক্তৃতা দেবেন। অতীতে দেখা গেছে বিদেশ সফরের সময় আমেরিকান প্রেসিডেন্টরা নানাধরনের অস্বত্বিকর ও বিব্রতকর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন। জর্জ ডাব্লিউ বুশ চীন সফরে এক সংবাদ সম্মেলনের পর তালা লাগানো একটা দরজা দিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছিলেন। ইরাকের এক সংবাদ সম্মেলনে তাকে লক্ষ্য করে জুতো ছোঁড়ার ঘটনা ঘটেছিল। তার বাবা জর্জ এইচ ডাব্লিউ বুশ জাপানী প্রধানমন্ত্রীর কোলে বমি করে দিয়েছিলেন।
প্রটোকল না মানার কারণে ঝামেলায় পড়েছিলেন বারাক ওবামা। জাপানি সম্রাট আকিহিতোকে কুর্নিশ করার জন্য তিনি সমালোচিত হয়েছিলেন। তার স্ত্রী মিশেল ওবামা ব্রিটেনের রানি এলিজাবেথকে প্রথা ভেঙে আলিঙ্গন করে চরম অস্বত্বিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছিলেন। জর্জ ডাব্লিউ বুশ জার্মান চান্সেলর অ্যাঙ্গেলাকে ঘাড় মালিশ করেছিলেন যেটা মোটেও ভালোভাবে নেওয়া হয়নি।
তবে ট্রাম্পের আয়োজক দল তাকে এসব সম্ভাব্য ভুলভ্রান্তি থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করছে। ট্রাম্পের একটা সুবিধা আছে। তার বেশির ভাগ উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এই সফরে তার সঙ্গে থাকছেন। এ ছাড়া সৌদি আরবের শীর্ষ বৈঠকে প্রায় ৩০টি দেশের সরকার প্রধান থাকছেন। তারা সবাই হয়তো তাকে কিছু না কিছু বলতে চাইবেন।