মোহাম্মদ রাহাদ রাজা (ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি) # কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার চরাঞ্চলে মৌসুমী বৃষ্টিতে রোগ-বালাই কম, গেল বন্যায় পলিও পড়েছে ভালো, তাই চলতি বছর চিনা-বাদামের ফলন ভালো হবে বলে আশা করছেন স্থানীয় কৃষকরা ।
বিঘাপ্রতি বাদামের ফলন হয় ৮ থেকে ৯ মণ। চলতি বছর আরো বেশি ফলন প্রত্যাশা এলাকার কৃষকদের। তবে গত বছরের মজুদ আর এবছরের ভালো ফলন মিলে বাজার খারাপ যাবে বলেই আশঙ্কা তাদের অনেকেরই। গত বছর ফসলের উঠতি মৌসুমে কৃষক পর্যায়ে চিনা বাদামের দাম ছিল– মণে ২৫ থেকে ২৬শ’ টাকা।
স্থানীয় ব্যাপারীদের কাছে বিক্রি’র পর দৌলতপুরের মোট কৃষি জমির মধ্য থেকে ৫শ’১০ হেক্টর জমিতে চাষ হওয়া তিন জাতের চিনা বাদাম দেশের চাহিদা মিটিয়ে চলছে রপ্তানি পর্যায়ে। দৌলতপুরে গেল বছর উৎপাদন হয়েছে হেক্টর প্রতি গড়ে ২ টন। উপজেলার মরিচা,ফিলিপনগর,রামকৃষ্ণপুর এবং মথুরাপুর ইউনিয়নে চিনা বাদামের চাষ বেশি। দৌলতপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো:মোশারফ হোসেনের দেয়া তথ্যে চাষ হওয়া বারী-১;বিনা বাদাম,স্থানীয়-২ কৃষকের কাছে জনপ্রিয় জাত।
বিভিন্ন প্রসাধণী, খাদ্য দ্রব্যসহ নানা বাণিজ্যিক উৎপাদনে চিনা বাদাম ব্যবহৃত হয়। আর মুখরোচক হাল্কা খাবারের তালিকায় বাঙ্গালী চিনা বাদাম কে রেখেছে বেশ উপরের দিকে। চিনা বাদাম লেগাম গোত্রের একটি প্রজাতি যার উৎপত্তিস্থল দক্ষিণ আমেরিকা, মধ্য আমেরিকা এবং মেক্সিকো। আদি উৎস আমেরিকা হলেও বর্তমানে ভারতীয় উপমহাদেশ, চীন, জাপান, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, মধ্য আফ্রিকা, মাদাগাস্কারসহ আরো অনেক উষ্ণমন্ডলীয় দেশে চীনাবাদামের ব্যাপক চাষাবাদ হচ্ছে।
স্বল্প শ্রম ও বিনিয়োগে উৎপাদন হওয়ায় বাদাম চাষ করতে আগ্রহ বাড়ছে চরাঞ্চলের কৃষকের। কেবল ক্ষরা পড়লে হালকা সেঁচ দিতে হয়। আর টিএসপি ও পটাশিয়াম সারের দরকার পড়ে বিঘায় ১৫ কেজি মিশ্রণ।