কলকাতা থেকে খুলনার ভাড়া নির্ধারিত হয়েছে ৬৫০ রুপি। আর কলকাতা থেকে খুলনা হয়ে ঢাকার ভাড়া ১ হাজার ৪০০ রুপি। ঢাকার কমলাপুরের আন্তর্জাতিক বাস টার্মিনাল থেকেও রোববার বাদে প্রতিদিন কলকাতার উদ্দেশে ছেড়ে আসবে অন্য একটি বাস। বাসটি খুলনা হয়েই কলকাতা আসবে। কলকাতা থেকে এই বাসটি চালাবে পশ্চিমবঙ্গ ভূতল পরিবহন নিগমের নিয়ন্ত্রণাধীন শ্যামলী যাত্রী পরিবহন আর ঢাকা থেকে বাসটি চালাবে সেখানকার বিআরটিসির নিয়ন্ত্রণাধীন গ্রিনলাইন পরিবহন।
এই বাস পরিষেবা চালুর পর কলকাতা ও ঢাকার মধ্যে প্রতিদিন উভয় প্রান্ত থেকে তিনটি করে বাস চলবে। একটি কলকাতা-ঢাকা, আরেকটি কলকাতা-ঢাকা-আগরতলা এবং শেষটি কলকাতা-খুলনা-ঢাকা। ১৯৯৯ সালে প্রথম ঢাকা ও কলকাতার মধ্যে প্রথম বাস পরিষেবা শুরু হয়েছিল। ২০১৫ সালে বাস চালু হয় আগরতলা-ঢাকা-কলকাতার মধ্যে। এবার চালু হলো ঢাকা-খুলনা-কলকাতার মধ্যে।
গত ৮ এপ্রিল দুপুরে দিল্লিতে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যম এই বাস পরিষেবা শুভ সূচনা করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতার রাজ্য সচিবালয় নবান্নর সামনে থেকে সেদিন কলকাতা থেকে দুটি বাস খুলনার উদ্দেশে যাত্রা করেছিল।
১৯৯৯ সালে প্রথম কলকাতা-ঢাকার মধ্যে যাত্রীবাহী বাস চলাচল শুরু হয়েছিল। এখনো এই বাস রোববার ছাড়া প্রতিদিনই চলছে। এরপরে ২০১৫ সালে কলকাতা-ঢাকা-আগরতলার মধ্যেও চালু করা হয়েছে যাত্রীবাহী বাস। সেই বাসও রোববার ছাড়া প্রতিদিন চলছে। এবার শুরু হলো কলকাতা-খুলনা-ঢাকার মধ্যে ফের যাত্রীবাহী বাস চলাচল। রোববার বাদে এই বাস প্রতিদিন চলবে দুই দেশের মধ্য।