বদলে যাচ্ছে ঠাকুরগাঁও

Slider গ্রাম বাংলা

100_6420

এস. এম. মনিরুজ্জামান মিলন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ শিরোনামটি শুনে অনেকেই আতঁকে উঠেছেন। অনেকেই হয়তো ভুয়া নিউজের দোহাই দিয়ে ব্যাক বাটনে ক্লিক করার প্রস্তুতিটিও সেরে ফেলেছেন।

কিন্তু না, সত্যি সত্যিই বদলে যাচ্ছে ঠাকুরগাঁও। বদলে যাচ্ছে দৃশ্যমান ঠাকুরগাঁওয়ের চিত্র। জেলা শহরের ঢাকা-পঞ্চগড় মহাসড়কস্থ পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এলেই ঘটনার সত্যতার প্রমাণ মিলবে।

গত ১০ দিনের আগের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড আর আজ ১০ দিনের পরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ডের মধ্যে আকাশ-জমিন পার্থক্য। ১০ দিনের আগে যেই জায়গাটিকে পুরাতন বাসস্ট্যান্ড ট্রাফিক মোড় বলা হত সেটি আর ট্রাফিক মোড় নেই।

ট্রাফিক পুলিশের ছাউনি, ছাউনির পাশের সেই পুরোনো বটগাছ, বটগাছ ঘিরে সেই বসার স্থান, বিভিন্ন স্থান নির্দেশক তীর, দুরত্ব তালিকার কোনটিই এখন আর নেই তার আগের যায়গায়। পুরাতন বাসস্ট্যান্ড রয়েছে কিন্তু ট্রাফিক মোড়টি আর নেই।

এসব স্থাপনা ভাঙার কাজে নিয়োজিত কর্মচারীদের সাথে কথা বলে জানা গেলো, রাস্তার দুইদিকে বাড়িয়ে গোলচত্বর করার জন্য পুরাতন বাসস্ট্যান্ড ট্রাফিক মোড়ের যাবতীয় স্থাপনা ভেঙে এবং গাছ কেটে অন্যত্র সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

এই কাজে নিয়োজিত ঠিকাদার জানান, আগামী ২০ তারিখের মধ্যে ট্রাফিক মোড়ের যাবতীয় স্থাপনা ভেঙে এবং গাছ কেটে অন্যত্র সরিয়ে ফেলার কাজ সম্পন্ন হবে।

ট্রাফিক মোড়ের ছাউনির পাশেই রয়েছে বিদ্যুতের খুটি। এসব খুটির ব্যাপারে কথা বলা হলে সওজ কর্তৃপক্ষ জানায়, খুটি সরানোর জন্য আমরা রংপুর পিডিবিতে দরখাস্ত জমা দিয়েছি। অতিসত্বর শুরু হবে বিদ্যুতের খুটি সরানোর কাজ। খুটি সরলেই গোলচত্বর তৈরির কাজ শুরু হবে।

শুধু ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকাতে নয়, ঢাকা-পঞ্চগড় মহাসড়কস্থ সালন্দর ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত চৌধুরীহাট এলাকায় একটি এবং ঠাকুরগাঁওয়ের শেষ সীমানায় অবস্থিত ২৯ মাইল এলাকায় আরও একটি গোলচত্বর তৈরির পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ। উক্ত ৩ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৫ লক্ষ টাকা।

এ নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন ঠাকুরগাঁওবাসী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। তারা বলেন, ট্রাফিক মোড় পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকার একটি সৌন্দর্য ছিল। তবে রাস্তা বৃদ্ধি ও গোলচত্বর হওয়ার পরে সেই সৌন্দর্য আরও বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।

কোন স্থানে সৌন্দর্য নিজে থেকে তৈরি হয়না। স্থানটিকে সৌন্দর্যমন্ডিত করে স্থানটিকে ঘিরে চলাচলকারী, বসবাসকারী মানুষ। রাস্তা বৃদ্ধি ও গোলচত্বর হওয়ার পরে বিভিন্ন জেলা, বিভাগ, দেশ থেকে ঠাকুরগাঁওয়ের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসা মানুষগুলোর কাছে স্থানটি আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে বলে বিশ্বাস এই জেলার প্রতিটি মানুষের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *