লাদেন হত্যার প্রতিশোদ নিতে চান পুত্র হামজা

Slider সারাবিশ্ব

65379_laden

 

ঢাকা; পিতা ওসামা বিন লাদেন হত্যার প্রতিশোধ নিতে চান পুত্র হামজা বিন লাদেন। হামজার বয়স এখন ২৮ বছর। এরই মধ্যে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি হুমকি ছুড়ে দিয়েছেন। বলেছেন, মার্কিন জনগণ আমরা আসছি। তোমরা তা অনুধাবন করতে পারবে।
ওসামা বিন লাদেনকে হত্যার পর আল কায়েদার কাছে পোস্টারবয় হয়ে ওঠে হামজা। এখন তিনি পরিণত বয়সে। ২০১১ সালে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে অভিযান চালিয়ে তার পিতা ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করে মার্কিন নেভি সিলের সদস্যরা। ওই সময় লাদেনের সেই অবস্থানস্থল থেকে পাওয়া যায় কিছু চিঠি। সেই চিঠি অনুসারে ধরে নেয়া হচ্ছে, হামজা বিন লাড়েন হতে পারেন আল কায়েদার নতুন মুখ। তিনিই নেতৃত্ব দিতে পারেন তার পিতার আল কায়েদাকে। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের সাবেক একজন এজেন্ট বলেছেন, পিতা হত্যার বদলা নিতে চান হামজা। বর্তমানে ২৮ বছর বয়সী এই যুবককে আল কায়েদার প্রচারণামুলক চারটি ভিডিওতে ব্যবহার করা হয়েছে। এসব খবর দিয়েছে লন্ডনের অনলাইন ডেইলি মেইল। এতে বলা হয়, হামজার বয়স যখন ২২ বছর তখন তিনি তার পিতাকে একটি চিঠি লিখেছেন। সেই চিঠি পড়েছেন এফবিআইয়ের সাবেক ওই এজেন্ট। এখন চিঠিগুলো ডিক্লাসিফায়েড করে দেয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, হামজা তার পিতা হত্যার প্রতিশোধ নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এফবিআইয়ের ওই এজেন্টের নাম আলী সুফিয়ান। তিনি ৯/১১ সন্ত্রাসী হামলায় এফবিআইয়ের নেতৃস্থানীয় তদন্তকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বলেছেন, হামজা যখন শিশু ছিলেন তখনই তিনি সন্ত্রাসী সংগঠন আল কায়েদার পরবর্তী নেতা হবেন এমনটা ধরে নেয়া হয়েছিল। এরই মধ্যে তিনি মার্কিন জনগণকে হুমকি দিয়েছেন। বলেছেন, তোমরা আমার পিতাকে হত্যা করেছ। ইরাক, আফগানিস্তানে যা করেছো তার প্রতিশোধ নিতে আসছি আমরা। এর পুরোটাই হবে প্রতিশোধ।
সিবিএস টেলিভিশনের ৬০ মিনিট অনুষ্ঠানে হামজার ব্যক্তিগত চিঠির গুরুত্ব সম্পর্কে ব্যাখ্যা করেছেন আলি সুফিয়ান। এ চিঠিগুলো তিনি পিতা ওসামা বিন লাদেনকে লিখেছিলেন বিভিন্ন সময়ে। হামলা সম্পর্কে সুফিয়ান বলেন, উদ্ধার হওয়া চিঠি ও অন্যান্য নথি সম্প্রতি প্রকাশ করেছে এফবিআই।  ওসামাকে লেখা হামজার চিঠিগুলির বয়ান থেকেই স্পষ্ট, পিতার প্রতি বরাবরই অনুরক্ত ছিলেন তিনি। ওসামা পাকিস্তানে গা ঢাকা দিয়ে থাকার আগেও বেশ কয়েক বছর তার সঙ্গে দেখা হয়নি হামজার। কিন্তু চিঠিতে হামজা লিখেছেন, ‘আপনার চাউনি, হাসি, আমাকে বলা প্রত্যেকটা শব্দ মনে গেঁথে রয়েছে।’ উল্লেখ্য, হামজা টিনেজ বয়সেই আল কায়েদার প্রচারণামুলক অনেক ভিডিওতে গুরুত্বপূর্ণ ফিগার হয়ে ওঠে। লন্ডন, ওয়াশিংটন, প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ২০১৫ সালে প্রকাশিত একটি অডিও বার্তায় তিনি এমন আহ্বান জানান। গত দু’বছরে এমন চারটি বার্তা তিনি রেকর্ড করেছেন। এ বছর জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সন্ত্রাসীদের ওয়াচ লিস্টে তার নাম যুক্ত করা হয়েছে। সারাবিশ্বের জন্য বিশেষভাবে সন্ত্রাসী হিসেবে তার নাম লিপিবদ্ধ করা হয়। এই একই তালিকায় ছিল তার পিতা ওসামার নাম। আলি সুফিয়ান বলেন, আল কায়েদার সদস্যদের কাছে হামজা একজন বড় নেতা। তাদের কাছে তিনি যেন সব। তাছাড়া তার পিতা যেসব প্রযুক্তি, বাক্য ব্যবহার করতেন হামজাও তা-ই ব্যবহার করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *