মুঠোফোনে বন্ধুত্বের পর ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৪  

Slider নারী ও শিশু
5221f76b49d70-rape
পাবনা; স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় ২০ বছর বয়সী মেয়েটি বাবার বাড়িতে থাকতেন। সম্প্রতি স্বামীর এক প্রতিবেশীর সঙ্গে মুঠোফোনে তাঁর বন্ধুত্ব হয়। সুযোগটি কাজে লাগিয়ে ওই ব্যক্তি তাঁর তিন সহযোগীকে নিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অসুস্থ ওই মেয়েটিকে ট্রেনে তুলে দিতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছেন তাঁরা।
শুক্রবার দিবাগত রাতে ঘটনাটি ঘটে পাবনার আটঘরিয়া উপজেলায়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার জনাব আলী (৩৮), আমিরুল ইসলাম (২৬), কাউসার শেখ (২৫) এবং আনারুল ইসলাম (২৫)। আজ শনিবার সকালে মেয়েটি বাদী হয়ে ওই চারজনকে আসামি করে আটঘরিয়া থানায় একটি মামলা করেছেন। আজ বিকেলে প্রধান আসামি জনাব আলী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, চার বছর আগে তাঁর বিয়ে হয়। স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় সম্প্রতি তিনি বাবার বাড়িতে ফিরে যান। পরে স্বামীর প্রতিবেশী জনাব আলী প্রতিদিন তাঁর মুঠোফোনে ফোন দিতে থাকেন। কয়েক দিন কথা বলার পর একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে ভালো বন্ধুত্ব হয়। এর মধ্যে হঠাৎ মেয়েটির দুই হাজার টাকার প্রয়োজন হলে তিনি মুঠোফোনে জনাব আলীর কাছে টাকা ধার চান। জনাব আলী মেয়েটিকে পাবনায় আসতে বলেন। টাকা নিতে শুক্রবার বিকেলে তিনি পাবনায় যান।

রাত নয়টার দিকে জনাব আলী মেয়েটিকে উপজেলার ক্ষিদিরপুর উচ্চবিদ্যালয়ের পেছনে একটি ফসলে মাঠে নিয়ে যান। সেখানে জনাব আলী ও তাঁর তিন সহযোগী আমিরুল ইসলাম, কাউসার শেখ ও আনারুল ইসলাম সারা রাত মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন। মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে ভোর চারটার দিকে আনারুল ও আমিরুল একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে মেয়েটিকে নিয়ে জেলার চাটমোহর রেলস্টেশনের দিকে রওনা দেন। আটঘরিয়া-চাটমোহর সড়কে টহল পুলিশ তাঁদের অটোরিকশাটি থামালে মেয়েটি চিৎকার করে পুলিশকে সব বলেন। পরে পুলিশ তাঁদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, রাতে থানায় এসে মেয়েটি ঘটনা খুলে বলেন এবং ওই চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এরপর অন্য দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের মধ্যে জনাব আলীকে আজ দুপুরে আদালতে হাজির করা হলে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে চারজনকেই কারাগারে পাঠানো হয়।

ওসি বলেন, মেয়েটির শারীরিক অবস্থা ভালো ছিল না। মেয়েটিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে এবং শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। পুরোপুরি সুস্থ হলে তাঁকে তাঁর পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *