জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তদন্ত কমিটির প্রধান নজরুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে আমাদের প্রতীয়মান হয়েছে ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। যে কক্ষে ধর্ষণের ঘটনার অভিযোগ উঠেছে সেই কক্ষ দুটি আজ বন্ধ ছিল তবে আমরা বাইরে থেকে দেখেছি। হোটেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। আমরা আমাদের প্রতিবেদনে সব কিছু উল্লেখ করবো। শনিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে হোটেলটি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন নজরুল ইসলাম।
পরে হোটেল কর্তৃপক্ষ সংবাদ সম্মেলনে দাবি করে, অভিযানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও মানবাধিকার কমিশন অস্বাভাবিক কিছু পায়নি। ধর্ষণের ঘটনার দিন সাফাত আহমেদ তার বন্ধুদের নিয়ে ফ্রন্ট ডেস্কে অস্ত্র জমা দিয়েই রেইনট্রিতে ঢুকেছিল। তবে হোটেলের আর্চওয়ে কানেক্টেড না থাকায় আসামিরা মদ নিয়ে হোটেলে ঢুকেছিল কিনা, তা বলছে পারছে না হোটেল কর্তৃপক্ষ।
ঘটনার দিনের কথা উল্লেখ করে হোটেলের জেনারেল ম্যানেজার ও ইন্টার্নাল অপারেশন এক্সিকিউটিভ ফারজান আরা রিমি বলেন, ২৮ মার্চ অস্ত্র ফ্রন্ট ডেস্কে জমা দিয়ে হোটেলে প্রবেশ করেছিল সাফাত, সাদমান, নাঈমরা। ফলে ধর্ষণের শিকার দুই তরুণী অস্ত্রের মুখে ধর্ষণের যে অভিযোগ করেছেন, তা মিথ্যা।
ব্রিফিংয়ে ফারজান আরা রিমি আরও বলেন, রিমি আরও বলেন, এই হোটেলের প্রতিটি রুম সাউন্ডপ্রুফ। ফলে রুমের মধ্যে কেউ চিৎকার করলেও তো বাইরে থেকে শোনার উপায় নেই।’ ২৮ মার্চ ওই দুই তরুণী ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও হোটেলটি ৯ এপ্রিল চালু হয়েছে বলে দাবি করেন রিমিঅ
ওই ঘটনার পর হোটেল কর্তৃপক্ষের প্রতি গাফিলতির যে অভিযোগ করেছেন দুই তরুণী, সে সম্পর্কে হোটেলের পক্ষ থেকে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল কিনা, সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে রিমি বলেন, এটা অনেকদিন আগের ঘটনা। এটা আমাদের মেমোরিতে নেই।
অনেকদিন আগের ঘটনা হলেও এটা তো আলোচিত একটি ঘটনা। এটা হোটেল কর্তৃপক্ষ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করেছে কিনা, সে প্রসঙ্গে রিমি আবরও বলেন, এতদিন আগের ঘটনা আমাদের পক্ষে মনে করা সম্ভব না। তাছাড়া ২৮ দিনের বেশি আমরা ফুটেজ সংরক্ষণ করি না। ফলে ওইদিনের ঘটনা আমাদের পক্ষে বলা সম্ভব না।