পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, নিমার আহমদ পেশায় রাজমিস্ত্রি। একই এলাকার এক গৃহবধূর সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্কে গড়ে ওঠে। ওই নারীর সঙ্গে প্রায় ছয় মাসের বিভিন্ন সময়ে প্রায় ২০ বার শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও নিমারের মুঠোফোনে পাওয়া গেছে। ওই নারীর কিশোরী মেয়ের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের আরও পাঁচটি ভিডিও চিত্র পাওয়া গেছে। গত রোববার থেকে ওই ভিডিও চিত্রগুলো মুঠোফোনে ছড়িয়ে পড়ার খবর পেয়ে নিমারকে শনাক্ত করে পুলিশ। বুধবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মা-মেয়ের জবানবন্দি সংগ্রহ করা হয়েছে জানিয়ে জৈন্তাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জাহিদ আনোয়ার বলেন, ঘটনার শিকার ওই নারীর ভাষ্য, তাঁকে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে প্রথম দফায় ধর্ষণ ও ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ধারণ করেন নিমার। পরে ওই ভিডিও চিত্র দেখিয়ে এবং তা ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে প্রায় ছয় মাসে নিমার তাঁকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। পরে তাঁর মেয়েকে নিমার একইভাবে ধর্ষণ করে ভিডিও চিত্র ধারণ করেন।