আহত তিনজন হলেন রায়গ্রাম ইউপির সদস্য ইসমাইল হোসেন, জালাল উদ্দিন ও দিদার হোসেন। এর মধ্যে ইসমাইল হোসেন যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বাকি দুজন কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় লোকজন জানান, দুলালমন্দিয়া গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছাগল একই গ্রামের শাজাহানের পাটখেতে ঢুকে পড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সালিস বৈঠক চলছিল। গতকাল খেতে ছাগল ঢুকে পড়লে শাজাহান ক্ষুব্ধ হয়ে বিল্লাল হোসেনের বাড়িতে যান। তিনি বলেন, ছাগল বেঁধে না রাখার কারণে তাঁর পাটখেত নষ্ট হচ্ছে। এ নিয়ে দুই পক্ষের কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। বিল্লাল ও শাজাহান দুজনই গত ইউপি নির্বাচনে দুলালমন্দিয়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান আলী হোসেন ওরফে অপুর পক্ষে কাজ করেছিলেন। হাতাহাতির খবর জানতে পেরে তিনি দুই পক্ষকে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে রাত নয়টায় ডেকে পাঠান। সালিস বৈঠক চলার সময় হঠাৎ পাঁচ-সাতজন লোক ধারালো অস্ত্র নিয়ে বিল্লালের পক্ষের লোকজনের ওপর হামলা চালায়।
বৈঠকের সময় উপস্থিত দুলালমন্দিয়া গ্রামের সিরাজুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি জানান, হামলাকারী ব্যক্তিদের মুখ গামছা দিয়ে ঢাকা ছিল। তারা অহিদুলসহ চারজনকে কুপিয়ে আহত করে। রাত ১০টার দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় অহিদুল ও ইসমাইলকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অপর আহত দুজন জালাল উদ্দিন ও দিদার হোসেনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। রাত দুইটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অহিদুল ইসলাম মারা যান। অহিদুল সালিস বৈঠকে বিল্লালের পক্ষে ছিলেন।
কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আনিচুর রহমান ওরফে মিঠু মালিথা জানিয়েছেন, নিহত অহিদুল ইসলাম থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ছিলেন।
কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আলিমুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। আজ শুক্রবার সকালে তিনি বলেন, দুই পক্ষের সালিস বৈঠক চলার সময় হামলায় একজন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন তিনজন। তিনি জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক।