পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেন, জঙ্গি আস্তানাগুলোতে যেহেতু প্রচুর বিস্ফোরক থাকে তাই অভিযানের সময় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের সঙ্গে রাখা হয় পানি ছিটানোর জন্য। এ ছাড়া দরজা-জানালা, দেয়াল ভাঙতেও তারা সহায়তা করে। প্রাথমিক চিকিৎসার ক্ষেত্রেও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সহায়তা করে। এ ধরনের প্রাণরক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে, তা বীভৎস।
আবদুল মতিনের বাড়ি গোদাগাড়ীর মাটিকাটায়। তাঁর লাশ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। মর্গ সূত্র জানিয়েছে, নিহতের শরীরে বিশেষ করে মাথায় কোপের অনেকগুলো গভীর ক্ষত রয়েছে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তাঁর বাম কানটি প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
জঙ্গিদের হামলা ও বিস্ফোরণে আহত চার পুলিশ সদস্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দুটি ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন। তাদের কারও কারও শরীরে বোমার স্প্লিন্টারের আঘাত রয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে।