প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ওই বাড়ি ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গতকাল বুধবার দিবাগত রাত একটা থেকে অভিযান চালাচ্ছে। আজ সকাল সাড়ে সাতটার দিকে জঙ্গি আস্তানার ভেতর থেকে কয়েকজন বেরিয়ে আসেন। এ সময় ‘আত্মঘাতী বিস্ফোরণ’ ঘটান তাঁদের কয়েকজন। তবে সুমাইয়া তখন থেকে বাইরে বসে ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছিল, অন্যদের মতো তিনিও ‘সুইসাইড ভেস্ট’ (আত্মঘাতী বন্ধনী) পরে অবস্থান করছেন।
সুমাইয়াকে আত্মসমর্পণ করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে বারবার মাইকে আহ্বান জানানো হচ্ছিল। বলা হচ্ছিল, ‘আপনি আত্মসমর্পণ করুন।’ তিন ঘণ্টার মতো সময় তিনি এভাবেই বসে ছিলেন। পরে সকাল ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে তিনি আত্মসমর্পণ করেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কাউন্টার টেররিজম ইউনিট, পুলিশ সদর দপ্তরের এলআইসি শাখা ও স্থানীয় পুলিশ মিলে এই অভিযান চালাচ্ছে।
এই অভিযানে এখন পর্যন্ত ছয়জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে পাঁচজন জঙ্গি বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিহত অপরজন ফায়ার সার্ভিসের সদস্য আবদুল মতিন।
ঘটনাস্থল থেকে রাজশাহীর গোদাগাড়ী সার্কেলের সিনিয়র এএসপি একরামুল হক সকাল সোয়া নয়টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, অভিযানে জঙ্গিদের পাঁচজন নিহত হয়েছেন। অভিযানে পুলিশের দুই সদস্য ও ফায়ার সার্ভিসের একজন সদস্য আহত হন। তাঁদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফায়ার সার্ভিসের সদস্য আবদুল মতিনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির সদস্য শফিউল আজম।