জিয়াউর রহমানই দেশে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি চালু করেছিল : বাণিজ্যমন্ত্রী

Slider রাজনীতি সামাজিক যোগাযোগ সঙ্গী

194131Tofael_kalerkantho_pic

 

 

 

 

জিয়াউর রহমানই দেশে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি চালু করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি আরো বলেন, ‘জিয়াউর রহমান ধর্মভিত্তিক রাজনীতির সুযোগ করে না দিলে দেশে এখন জঙ্গিবাদের উত্থান হতো না। অসাম্প্রদায়িক দেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মুসলমান, হিন্দু, বুদ্ধ, খ্রিস্টানসহ সকল সম্প্রদায়ের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিল। তারা রক্তের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন করে। সকল ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে নিজ নিজ ধর্ম পালন করতে পারবেন, এ মূল নীতিতে বাংলাদেশের সংবিধানে প্রণীত হয়েছিল। কিন্তু জিয়াউর রহমান সংবিধান পরিবর্তন করে দেশের স্বাধীনতা বিরোধীদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়ে এমপি ও মন্ত্রী বানিয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর মতো তার মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সকল ধর্মকে গুরুত্ব দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন। এখন দেশে সব ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে ধর্মীয় উৎসব পালন করছেন। ‘

আজ বুধবার ঢাকায় ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারে বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ আয়োজিত ‘বুদ্ধপূর্ণিমার তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘বুদ্ধের দর্শন শুধু বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের জন্য নয়, সমগ্র মানব জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সকলের প্রচেষ্টায় দেশে জঙ্গি তৎপরতা বন্ধ হয়ে যাবে। ‘

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি সরকার জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করেছিল, তারা বাংলা ভাই সৃষ্টি করে মানুষকে গাছে ঝুলিয়ে হত্যা করেছিল। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয় দিয়ে বিদেশে চাকরি দিয়েছিল। দেশব্যাপী বোমা হামলা চালানো হয়েছিল। বিএনপি নেত্রী তাদের উস্কানি দিয়েছিল। বর্তমার সরকার জঙ্গি দমনে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে। এখন কঠোর হস্তে দক্ষতার সঙ্গে জঙ্গি দমন করা হচ্ছে। ১৯৭১ সালের চেতনা নিয়ে অপশক্তিকে মোকাবেলা করতে হবে। ‘

বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সভাপতি সংঘনায়ক শুদ্ধনান্দ মহাথের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য দেন সাবেক মন্ত্রী দিলীপ বড়ূয়া ও ঢাকায় নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত পানপিমন সুওয়ানাপংস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *