ফেনীতে পথশিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে এক বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী দেলোয়ার হোসেনকে (৬৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে ফেনী সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে আটক করা হয়। তিনি ওই বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী হিসেবে কর্মরত।
মামলার বাদি নির্যাতিত শিশুর মা ফাতেমা বেগম জানান, গত ৫ মে শুক্রবার ফেনী সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের পিছনে ছাত্রাবাসের পাশে একটি আম গাছের নিচে আম কুড়াতে যায় তার ১২ বছর বয়সী শিশু মেয়ে। এসময় ওই বিদ্যালয়ের নিরাপত্তা প্রহরী দেলোয়ার হোসেন তার মেয়েকে ধর্ষণ করে। পরে মেয়েটি ফেনী রেলওয়ে স্টেশনস্থ কলোনিতে ফিরে তার মায়ের কাছে বিষয়টি খুলে বলে। এঘটনার পথশিশুটির পরিবার বিভিন্ন জনের সাথে কথা বলে মঙ্গলবার রাতে ফেনী মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষনের মামলা দায়ের করে।
ফেনী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাশেদ খাঁন চৌধুরী জানান, ধর্ষণের মামলায় নৈশ প্রহরী দেলোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নির্যাতিত মেয়েটির শারীরিক পরীক্ষার জন্য ফেনী জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে ধর্ষণের বিষয়টি আদো সত্য কিনা সেটি মেডিকেল রির্পোটের উপর নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এদিকে ফেনী সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হোসনে আরা বেগম জানান, নৈশ প্রহরী দেলোয়ার হোসেন গত ৪ মে অসুস্থ্যতার কারণে ছুটি নিয়ে যায়। সে দীর্ঘদিন বিদ্যালয়ের পাশে টং দোকান করে পরিবার চালায়। কখনও তার আচার আচরণে এধরনের কিছু লক্ষ করা যায়নি। যেহেতু মামলা হয়েছে সেহেতু বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছে।