এম আরমান খান জয়,গোপালগঞ্জ ঃ-আম, কাঠাল, লিচু, জাম, জামরুলের মৌতাত ছড়িয়ে শুরু হচ্ছে মধু মাস। চারদিকে রসালো ফলের ঘ্রাণে মাতোয়ারা সবাই। সিধুরে আম, লিচু, কাচাসোনা রং কাঁঠালের প্রাচুর্য্য জীবনের প্রাণমনকে ভাসিয়ে নিয়ে চলছে। কাল বৈশাখীর সম্ভাবনা আর কাঠফাটা রৌদ্দুরের মাঝে অজ¯্র ফল ও পুষ্পের সমাহারে আজ বড় বেশী মনে পড়ে “ঝড়ের দিনে মামার বাড়ী আম কুড়াতে সুখ, পাকা জামের মধুর রসে রঙ্গিন করে মুখ”। গ্রামীণ জনপদগুলো যেন মেতে উঠেছে ফল উৎসবের আবহে। রঙ্গে রসে টুইটুম্বুরগুলো মৗসুমী ফলের গায়ে রাধাচুড়া-কৃষ্ণচুড়া ফুলের মতই রক্তিম আভা ছড়িয়েছে। চোখ ধাধিয়ে যায় তার অগ্নিশিখা রঙ্গে। তাই এই আবহনের গানে প্রাণ তোলপাড় হয়ে উঠে : কৃষ্ণচুড়া লাল হয়েছে ফুলে ফুলে, তুমি আসবে বলে। জৈষ্ঠ্য থেকে শুরু মধু মাস। জৈষ্ঠ্যের এ নামটি এসেছে নক্ষত্রের জৈষ্ঠ্য থেকে। হিন্দু বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী এটি জেষ্ঠ্য মাস নামেও পরিচিত। বাংলাদেশে ১৫ই মে থেকে মাসটি শুরু হয়। ইন্ডিয়ার ন্যাশনাল সিভিল ক্যালেন্ডার অনুযায়ী জৈষ্ঠ্য হল বছরের ২য় মাস এবং এটি শুর হয় ২১ মে থেকে। মধু মাসের আগেই অনেক হাট-বাজারে হরেক রকম ফলের সমাহার হলেও দামটা যেন আকাশ ছোঁয়া। এক ডালায় গোপাল ভোগ তো আরেক ডালায় ক্ষীরসাপাত। পাশেই আবার আরেক ঝুড়িতে রাখা আছে ল্যাংড়া আম। এমনই বাহারি আমের রঙ ও মৌ-মৌ গন্ধে ভরে উঠেছে গোপালগঞ্জের আম বাজার। তবে গতবারের চেয়ে এবার আম কম থাকায় আকাশ ছোঁয়া দাম হাঁকছেন ব্যবসায়ীরা। তারপরেও বিক্রি হচ্ছে আম।গোপালগঞ্জে মৌসুমী ফলের প্রাণকেন্দ্র গোপালগঞ্জের বড় বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের কাছে প্রতি কেজি আম ২০০ থেকে ২৫০ বিক্রি করছে।
স্থানীয় সূত্র মতে, গোপালগঞ্জ জেলার কয়েকটি থানার মধ্যে আমপ্রধান এলাকা হিসাবে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মাঝিগাতি,তারগ্রাম কিছুটা পরিচিত। প্রতি বছরই আমের এই মৌসুমে গোপালগঞ্জ বড় বাজার সহ অনন্য বাজারের ন্যায় বেশ কয়েকটি আমের বাজার গড়ে ওঠে। এই বাজারে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক আম ব্যবসায়ীরা ব্যস্ত সময় কাটান। এখানে বড়-বড় ব্যবসায়ীরা চুক্তি মূল্যে বাগান কিনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরে আম চালান করলেও বসে নেই গোপালগঞ্জের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। এ সকল ব্যবসায়ীরা বলছেন, বর্তমানে আমের বাজারও ভালো। এ কারণে তাদের লাভও ভালো হচ্ছে।