ঢাকা: অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ক্ষুদ্রঋণ দারিদ্র্য দূর করতে না পারলেও দারিদ্র্য বিমোচনে সহায়ক। রোববার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) বর্ষব্যাপী রজতজয়ন্তীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। পিকেএসএফের ২৫ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের শুধু ক্ষুদ্রঋণের ওপর নির্ভর করলে হবে না। দারিদ্র্য দূর করতে হলে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবায় মনোযোগী হতে হবে।’মন্ত্রী আরো বলেন, ‘সবার মাঝে সঞ্চয়ের অভ্যাস আছে। সেটা দীর্ঘস্থায়ী করার ব্যবস্থা হচ্ছে ক্ষুদ্রঋণ। তাই আমাদের এ ব্যাপারে আরো ব্যাপকভাবে কাজ করতে হবে।’
মুহিত বলেন, ‘ষাটের দশকে আমাদের দেশে গ্রামীণ পল্লী কর্মসংস্থান শুরু হয়। তারপর ১৯৭৬ সালে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস নতুন এক চিন্তাধারা নিয়ে আসেন। পরে সরকার ১৯৮৩ সালে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করে। যার উদ্দেশ্য দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সহজ শর্তে ঋণ দেওয়া। সেটার সুফল আমরা পেয়েছি ১৯৯০ সালে পিকেএসএফ প্রতিষ্ঠার পর।
এই প্রতিষ্ঠানটি যাত্রা শুরু থেকেই দারিদ্র্য বিমোচনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।’ উল্লেখ্য, শিক্ষা ও নারী উন্নয়নে অবদানের জন্য দুই নারীকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়। তারা হলেন অধ্যাপক লতিফা আকন্দ ও অধ্যাপক জাহানারা হক।পিকেএসএফের সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান, পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুল করিমসহ পিকেএসএফের সদস্যরা।