স্টাফ রিপোর্টার,ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার সরকারি দোবিলা বিলা আর শ্মশান দখল করে পুকুর খননের প্রতিযোগিতায় নেমেছে চৌগাছার ভূমি দস্যুরা। বিষয়টি প্রশাসন জেনেও না জানার অভিনয় করে চলেছে।
এলাকাবাসী সুত্রে জানাগেছে,মহেশপুর উপজেলার আজমপুর ইউনিয়নের ৩টি মৌজার ৩৮৪একর জমি নিয়ে দোবিলা নামে একটি সরকারি জল মহল আছে। জল মহল টি আজমপুর মৌজায় ৮৭.৫৬ একর হুদা আজমপুর মৌজায় ২০২.২৪একর ও আদমপুর মৌজায় ৯৩.৯৪একর জমি । চলতি বছর বিলটি প্রায় ২৪ লাখ টাকায় সরকার দুলাল মৎস্য জীবি কে ইজারা দিয়েছেন।
এই ইজারা দেওয়া সরকারি জল মহালের হুদা আজমপুর মৌজার একাংশ চৌগাছা উপজেলার হোগল ডাঙ্গা গ্রামের জাহাঙ্গীর,ইসলাম হোসেন, মতিয়ার রহমান,আতিয়ার রহমান,আবুল কালাম ,ভোলা মিয়া, এস এফ হোসেন, শহিদুল ইসলাম ও মাঙ্গির পাড়ার আব্দুল মজিদ আকালে বাথানগাছি মির্জাপুর দোবিলা দখল করে পুকুর খনন করছে। আজমপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা ও এডিসি (রাজস্ব) কে জানানো হলেও পুকুর খননের কাজ বন্ধ হয়নি। দখল কৃত জমির মধ্যে এলাকার শ্মশানের জমিও ওয়েছে।
এলাকাবাসী আরো জানান, এই বিলে প্রায় ২০টি মৌজার পানি এসে পড়ে। এই পানি কপোতাক্ষ নদ দিয়ে বের হয়। পুকুর খননের কারণে বৃষ্টির পানি জমে বিলটি তার ধারণ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলবে, যার কারণে এ এলাকার হাজার হাজার একর জমির ফসল পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে।
পুকুর খনন কারী হোগলডাঙ্গা গ্রামের ভোলা মিয়া জানান, তিনি বিলের সরকারি জমি ১বিঘা মত দখল করে নিয়ে পুকুর খনন করেছেন।
দিনে পুকুর কাটতে পারেনি তাই রাতে ড্রেজার মেশিন দিয়ে পুকুর খনন করেছি। তার মত আরো কয়েকজন দিনে ও রাতে ২০ একর সরকারি জমি দখল করে পুকুর খনন করেছেন। শুক্রবার সরকারি ছুটির দিন থাকায় ভূমি দস্যুরা দিনে পুকুর কাটার চেষ্টা করে। এসময় এলাকাবাসীরা একতা বদ্ধহয়ে বাধা দিয়ে ড্রেজার মেশিন তুলে নিতে বাধ্য করে। আজমপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আব্দুস সামাদ জানান, পুকুর কাটা হচ্ছে কিনা আমি দেখেনি তবে মাঝে একদিন ড্রেজার মেশিন উঠিয়ে দিয়ে ছিলাম। আমি আগামী কাল সকালে যেয়ে আবার দেখার পর বলতে পারবো।
ঝিনাইদহ জেলা এডিসি (রাজস্ব) খদেজা খাতুন সরকারি দোবিলা বিলা আর শ্মশান দখল করে পুকুর খননের বিষয়ে জানান, বিষয় টি আমার জানা নেই, আমি এখনই খোজ খবর দখল কারিদের বিরুদ্ধে নিয়ে ব্যবস্থা নিব।