ইয়াবা ব্যবসায়ীদের কঠোর শাস্তি পেতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

Slider চট্টগ্রাম জাতীয় সামাজিক যোগাযোগ সঙ্গী সারাদেশ

205947PM-hasina_kalerkantho_pic

 

 

 

 

কক্সবাজার থেকে সারাদেশে ইয়াবা সরবরাহে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এই ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সে যেই হোক না কেন কঠোর শাস্তি পেতে হবে।

আজ শনিবার অপরাহ্নে কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কক্সবাজার শাখা আয়োজিত বিশাল জনসমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে তিনি  এখান থেকে একযোগে ৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ৯টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কক্সবাজারের বদনাম রয়েছে- এখান থেকে নাকি ইয়াবা সারা বাংলাদেশে সরবরাহ হয়। এই ইয়াবা সরবরাহ বন্ধ করতে হবে। যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদেরকে শাস্তি পেতেই হবে। তাদের কোনো রকম রেহাই দেওয়া হবে না। ’

তিনি মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, মাদক এক একটা পরিবারকে ধ্বংস করে দেয়। এই মাদকের ছোবলে এক একটা মানুষের জীবন শেষ হয়ে যায়। এক একটা মানুষ যখন মাদক সেবন শুরু করে সে পৌরুষত্ব হারায়, সে তার চিন্তা শক্তি হারায়, সে অসুস্থ হয়ে অকালে মৃত্যুবরণ করে। কোনো বাবা-মা চায় না যে তার সন্তান এভাবে অকালে মৃত্যুর পথে চলে যাক। এভাবে শেষ হয়ে যাক, কাজেই এই মাদকদ্রব্য থেকে আমাদের সন্তানদের রক্ষা করার জন্য সমাজের সকল স্তরের জনগণের কাছে আমি আহ্বান জানাবো।

এ সময় শেখ হাসিনা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে তাঁর সরকারের কঠোর অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, ‘সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ বাংলার মাটিতে কোনো ভাবে চলবে না, চলতে পারে না। এর বিরুদ্ধে সকলকে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য আমি আহ্বান জানাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইসলামের নাম নিয়ে কেউ জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস সৃষ্টি করবে এটাকে আমরা বরদাশত করব না। তাই এই সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের হাত থেকে আমাদের ছেলে-মেয়েদের রক্ষা করতে হবে।

জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও মাদকের মত সামাজিক ব্যাধি থেকে উত্তোরণে দেশবাসীর সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, আমরা একটা জিনিসই চাই সারাদেশের ইমাম, মুয়াজ্জিন, ওলামা-মাশায়েখ শিক্ষক সহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষ যারা আছেন এই কক্সবাজারবাসী সবাইকে আমি বলব সারাদেশে আমাদের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ এবং মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের প্রেক্ষাপট স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে বাংলার মানুষের জন্য আমার বাবা জীবন দিয়েছেন, আমার মা জীবন দিয়েছেন, আমার ভাইয়েরা জীবন দিয়েছেন সেই বাংলার মানুষেরা ভালভাবে বাঁচবে, উন্নত জীবন পাবে তাঁদের ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়া শিখে বড় হবে, মানুষের মত মানুষ হবে তাঁর বাবার সেই স্বপ্ন পূরণেই তিনি এবং তাঁর সরকার দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন।

সমাবেশে অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, দলের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *