কলকাতা প্রতিনিধি; ভারতে নরেন্দ্র মোদী সরকারের তিন বছর পূর্তির প্রাক্কালে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার প্রশ্নে সরকারকে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। আর এই সমালোচনা এসেছে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের তরফ থেকে।
শুক্রবার জেনেভায় প্রকাশিত জাতিসংঘের ‘ইউনিভার্সাল পিরিওডিক রিভিউ রিপোর্ট’-এ তীব্র ভাষায় ভারত সরকারের সমালোচনা করা হয়েছে। এই রিপোর্টে ভারতে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার অভিযোগের পাশাপাশি নারী নির্যাতন, লিঙ্গবৈষম্য, বিশেষভাবে কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের সুপারিশ মেনে ভারত দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষদের আরও বেশি আইনি সহায়তা দিতে রাজি হয়েছিল। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ভারতে বেড়ে চলেছে বিনা বিচারে জেলবন্দি রাখার ঘটনা। দলিত, আদিবাসী এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে এটা বেশি হচ্ছে বলে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে। বলা হয়েছে, গত চার বছরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে হিংসা এবং বৈষম্য কমাতে কোনও পদক্ষেপই নেয় নি ভারত। লিঙ্গ বৈষম্যের প্রসঙ্গে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন মনে করছে, মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ কমানো এবং এই ধরনের ঘটনার তদন্তের প্রশ্নে কোনও অগ্রগতি হয় নি। তবে জেনেভায় ‘ইউনিভার্সাল পিরিওডিক রিভিউ ওয়ার্কিং গ্রুপ’-এর বৈঠকে ভারতের অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রোহতগি যুতসই যুক্তি না দিয়ে শুধু বলেছেন, ‘ভারতের ঐতিহ্য সহিষ্ণুতার, সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে চলার।’ সেইসঙ্গে তিনি ভারত একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ উল্লেখ করে বলার চেষ্টা করেছেন যে, ‘ভারতের কোনও রাষ্ট্রীয় ধর্ম নেই। ধর্মনিরপেক্ষ দেশে সংখ্যালঘুদের অধিকার সুনিশ্চিত করাটা দেশের মৌলিক নীতির মধ্যেই পড়ে।’