ঢাকা: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় চার্জ গঠনের বিষয়ে বেগম খালেদা জিয়ার করা ৩টি লিভ টু আপিলের শুনানি আগামীকাল পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এদিন খালেদা জিয়ার পক্ষে আদালতে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদিন। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন এসময় উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম। দুদকের পক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
উল্লেখ্য, দুদকের দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন বিচারক বাসুদেব রায়ের আদালত। এ অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। হাইকোর্ট এ আবেদন খারিজ করে দিলে তিনি আপিল বিভাগে আবেদন করেন। পরে আপিল বিভাগ তা খারিজ করে দেন। এর লিভ টু আপিল দায়ের করা হয়।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন। এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশ্যে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে এ মামলা করা হয়।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান।
এর মধ্যে তারেক রহমান দেশের বাইরে আছেন। মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ জামিনে আছেন। তবে শরফুদ্দিন আহমেদ আদালতে হাজির না থাকায় ১৯ মার্চ তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। অপর দুই আসামি ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক।
দুদকের সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ মামলাটি তদন্ত করে ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।