গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জে বিএডিসির আলুবীজ হিমাগার ৩ উপজেলা সহশ্রাধিক কৃষকের ভাগ্য বদলে দিয়েছে। এ জেলায় বিএডিসি আলুবীজ হিমাগার স্থাপন করার পর গত ৩ বছর ধরে বিএডিসির বীজ উৎপাদন কর্মসূচীর আওতায় আলুবীজ আবাদ করে গোপালগঞ্জ সদর, কোটালীপাড়া ও বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার সহশ্রাধিক চাষী ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটিয়েছেন।
বিএডিসি কৃষককে ফাউন্ডেশন আলু বীজ, সার ও ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করে কৃষককে দিয়ে আলু বীজের চাষ করায়। তারপর বিএডিসি কৃষকের কাছ থেকে বাজারে আলুর মূল্যের তুলনায় ৩০% বেশি মূল্য দিয়ে আলুবীজ কিনে নেয়। এ বীজ পরবর্তী বছরের বীজ হিসেবে হিমাগারে সংরক্ষণ করে। খাবার আলুর তুলনায় বীজ আলু আবাদে কৃষক বেশি লাভবান হচ্ছেন। এ কারণে প্রতি বছরই লাভজনক আলু বীজ আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। গোপালগঞ্জের মাঠ থেকে কৃষকের আলু সংগ্রহ শেষে হিমাগারে আলুবীজ সরবরাহও শেষ হয়েছে। গোপালগঞ্জ বিএডিসি এই প্রতিবেদক কে জানান, ২০১৫ সালে গোপালগঞ্জে ২ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন আলুবীজ হিমাগার স্থাপন করে বিএডিসি। প্রথম বছর গোপালগঞ্জ অঞ্চলে ২৫ একর জমিতে বীজ আলুর আবাদ করে কৃষক। উৎপাদন করে ১ শ’ ৩৮ মেঃ টন আলুবীজ। দ্বিতীয় বছর আলু বীজ আবাদ বৃদ্ধি পেয়ে দাড়ায় ৬০ হেক্টরে। উৎপাদিত হয় ৩শ’৩৮ মেঃ টন । এবছর ১৫০ একর জমিতে আলুবীজের আবাদ করা হয়। উৎপাদিত হয়েছে ৭ শ’৫০ মেঃ টন।