মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মঙ্গলবার টেলিফোনে কথা বলেছেন।
হোয়াইট হাউসের পক্ষে এই আলোচনা যথেষ্ট ইতিবাচক বলে দাবি করা হয়েছে। খবর এএফপি’র।
এপ্রিলের গোড়ার দিকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে সিরিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরে এই প্রথম ট্রাম্প-পুতিনের কথা হলো। যদিও প্রেসিডেন্ট
নির্বাচিত হওয়ার আগে থেকে পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের ‘যোগসাজশ’ এখনও মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের তদন্তাধীন।
সিরিয়ায় রাসায়নিক হামলা প্রসঙ্গে দুই দেশের প্রেসিডেন্ট একেবারেই ভিন্ন অবস্থানে ছিলেন। রাসায়নিক হামলার অভিযোগ ওঠার পরে সারা বিশ্বের সঙ্গে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের নিন্দায় মুখর হয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেখানে বরাবরই সিরিয়ার বন্ধু দেশ হিসেবে পরিচিত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। প্রবল বিরোধের মুখেও আসাদের পাশে দাঁড়ান।
সেই টানাপোড়েনের ইতিহাস পিছনে ফেলে ফোনে কথা বলেছেন ট্রাম্প-পুতিন। শুধু সিরিয়া নয়, তাদের আলোচনায় উত্তর কোরিয়ার বাড়াবাড়ির প্রসঙ্গও উঠে এসেছে।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, সিরিয়ায় যুদ্ধ পরিস্থিতিতে দাঁড়ি টানতে আগ্রহী দুই শাসকই। পশ্চিম এশিয়া জুড়ে সন্ত্রাস সমূলে উৎখাত ও উত্তর কোরিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করা নিয়েও দু’জনের কথা হয়।
হোয়াইট হাউসের বক্তব্য, ‘ছয় বছর ধরে ভয়াবহ সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে সিরিয়াকে। এই সহিংসতার ইতি টানতে সব দেশের মিলিতভাবে এগিয়ে আসা দরকার, এ ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও প্রেসিডেন্ট পুতিন একমত। ’
‘সিরিয়ায় সংঘর্ষবিরতি নিয়ে কথা বলতে ট্রাম্পের এক প্রতিনিধি কাজাখস্তানের আসতানায় যাচ্ছেন। দু’মাস পরেই জার্মানির হামবুর্গে জি২০ সম্মেলন। সেখানেও মুখোমুখি কথার জন্য ট্রাম্পকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন পুতিন।
দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে ইতিবাচক আলোচনা হলেও রুশ ও মার্কিন অফিসাররা একটি বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছতে পারছেন না বলে দাবি কূটনীতিকদের। যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় সাধারণ মানুষের জন্য কিছু সুরক্ষা এলাকা (সেফ জোন) থাকা দরকার- এ নিয়েও ট্রাম্প-পুতিন কথা হয়েছে বলে দাবি হোয়াইট হাউসের। কিন্তু ক্রেমলিনের বিবৃতিতে তেমন কোনো প্রসঙ্গের উল্লেখ নেই।
পুতিনের মুখপাত্রও বলেছেন, এ নিয়ে আলোচনা হয়নি।
সিরিয়ার কিছু অংশে আসাদের বাহিনী এবং বিদ্রোহীদের আলাদা করতে রাশিয়া, ইরান ও তুরস্ক সক্রিয়ভাবে কাজ করবে আসতানায় পুতিনের প্রতিনিধি এমন প্রস্তাব দিতে পারেন বলে জানায় ক্রেমলিন সূত্র।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, বাশার প্রশাসন এ প্রস্তাব নিয়ে কিছুটা সন্দিহান। প্রস্তাব কার্যকর হলে সিরিয়াকে ভাগ করে দেয়া হতে পারে বলে তাদের আশঙ্কা।