ঢাকা ; সামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, সরকার পর্যটন শিল্পে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ আগামী বছর থেকে ‘পর্যটন এওয়ার্ড’ প্রবর্তন করতে যাচ্ছে। আজ বুধবার রাজধানীর মহাখালীস্থ হোটেল অবকাশে ‘এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের (এটিজেএফবি)’ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এক প্রাক-বাজেট আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে রাশেদ খান মেনন বলেন, দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি কর্মসংস্থানেও এ শিল্প কার্যকর অবদান রেখে চলেছে।
তিনি আরো বলেন, ২০১৬ সালে ৬ লাখেরও বেশি বিদেশি পর্যটক বাংলাদেশ ভ্রমণ করেছেন।
জাতিসংঘের টুরিজম বিষয়ক অঙ্গসংগঠন ইউএনডব্লিউটিও এবং ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল এন্ড টুরিজম কাউন্সিলের রিপোর্টে উদ্ধৃতি দিয়ে পর্যটনমন্ত্রী বলেন, ২০১৫ সালে বাংলাদেশের পর্যটন খাতে প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান হয়েছে ১১ লাখ ৩৮ হাজার ৫০০ আর পরোক্ষ কর্মসংস্থানের সংখ্যা ছিল ২৩ লাখ ৪৬ হাজার, যা মোট কর্মসংস্থানের ৪ দশমিক ১ শতাংশ।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি কর্নেল (অব.) ফারুক খান, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান অপরূপ চৌধুরী, বিটিবির প্রধান নির্বাহী পরিচালক ড. নাসির উদ্দিন, টোয়াব’র প্রেসিডেন্ট তৌফিক উদ্দিন আহমেদ, ট্রিয়াবের প্রেসিডেন্ট খবির উদ্দিন প্রমুখ।
সভায় এভিয়েশন ও পর্যটন শিল্পের বিকাশে শুল্কমুক্ত ট্যুরিস্ট গাড়ি আমদানি, ট্রানজিট ট্যাক্স প্রত্যাহার, এয়ার টিকেটের উপর ভ্যাট প্রত্যাহার, বিমানের ফুয়েল প্রাইস হ্রাস, এরেনোটিকেল এবং নন এ্যারোনোটিকেল সার্জ কমানো, পর্যটনকে সিএস আর এ অন্তর্ভুক্ত করাসহ বিভিন্ন দাবি উত্থাপন করা হয়।