তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন (আইসিটি) সংশোধন করে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, নতুন এ আইনে মুক্তভাবে কথা বলার সুযোগ অব্যাহত থাকবে। আজ বুধবার সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের দফতরে মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা ব্লুম বার্নিকাট। পরে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আইনমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমে যেসব কর্মীদের বিরুদ্ধে আইসিটি অ্যাক্টের ৫৭ ধারায় মামলা আছে তারা ন্যায় বিচার পাবেন, আমার ওপর আস্থা রাখুন। এ ধারার যেসব অসঙ্গতি আছে তা সংশোধন করা হবে এবং আইসিটি বিষয়ক অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য ডিজিটাল সিকিউরটি অ্যাক্ট নামের আইন করা হচ্ছে। যা আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিংয়ে আছে। তিনি আরও বলেন, নতুন আইনে মুক্তভাবে কথা বলার সুযোগ অব্যাহত থাকবে। শেখ হাসিনার সরকার এখানে কোনও হস্তক্ষেপ করবে না, হস্তক্ষেপের কোনও অভিপ্রায়ও নেই। একটি গণতান্ত্রিক সরকার যদি বিচার বিভাগকে সহায়তা না করে, তবে তা সত্যই দুঃখজনক।
বিচার বিভাগকে পঙ্গু করার চেষ্টা করলে তা বরদাস্ত করা হবে না সম্প্রতি প্রধান বিচারপতির এমন মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে আমি এখানে কোনও কথা বলবো না। প্রধানবিচারপতির সঙ্গে সরাসরি কথা বলবো। মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কোন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের পুরাতন শক্তিশালী বন্ধু। বন্ধুত্ব রক্ষা করতে এ ধরনের বৈঠক মাঝে মধ্যেই হবে। বন্ধুত্ব রক্ষার করার কৌশল নিয়েই দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এ সময় মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা ব্লুম বার্নিকাট বলেন, বিশ্বব্যাপী বর্তমানে নিরাপত্তা ঝুঁকি আছে। আমরা বাংলাদেশকে সঙ্গে নিয়ে নিরাপত্তা ঝুঁকি মোকাবিলায় কাজ করবো।