ঢাকা ; নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) আইটি প্রধান আশফাক উর রহমান অয়ন ওরফে আরিফ ওরফে অনিককে পাঁচদিন জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট প্রণব কুমার হুই তথ্য উদঘাটনের জন্য আসামিকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন মঞ্জুর করেন।
এর আগে রাজধানীর ভাটারা থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আসামিকে আদালতে হাজির করেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) এস এম শাহরিয়ার হাসান। আসামিকে হেফাজতে নিয়ে দশ দিন জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, সোমবার রাতে রাজধানীর ভাটারা থানা এলাকা থেকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, সংগঠনের সদস্যদের কাছ থেকে ব্লগারদের ফেসবুক ও অন্য অ্যাকাউন্টের আইডির তথ্য পেতেন। ওইসব অ্যাকাউন্ট ‘হ্যাক’করে সে তাদের আসল নাম-ঠিকানা বের করে ‘টার্গেট’ সুনির্দিষ্ট করতে সাহায্য করেন। আশফাকের সঙ্গে কয়েক মাস আগে রাজধানীর বাইরে কোথাও জিয়ার দেখা হয়। সর্বশেষ ২ মাস আগে তাদের যোগাযোগ হয় বলে আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে। তবে জিয়ার সর্বশেষ অবস্থান সম্পর্কে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছে। আসামিকে হেফাজতে নিয়ে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সমস্ত তথ্য পাওয়া সম্ভব হতে পারে। আবেদন মঞ্জুর করা হোক।
দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান মনিরুল ইসলাম জানান, অনিক ২০১৪ সালে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের ছাত্র ছিলেন। ছাত্র থাকা অবস্থায় এবিটির সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করেন তিনি। বছর দেড়েক আগে যোগ দেন এবিটির সামরিক বিভাগে। পরবর্তী সময়ে এবিটির সামরিক বিভাগের আইটি শাখার প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন। জিয়ার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাকে নানা ধরনের তথ্য দিতেন তিনি। জিয়া কোথায় আছে তা তার কাছ থেকে জানা যেতে পারে। তিনি জঙ্গি সংগঠনের প্রকাশনা ও প্রচারণার দায়িত্বে ছিলেন। এবিটি যেসব লেখক-ব্লগারকে টার্গেট করত, আশফাক তাদের ফেসবুক আইডি হ্যাক করে সব ধরনের তথ্য সংগ্রহ করে দিতেন।