মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে পিটিয়ে জখম করেছে শিক্ষার্থীরা

Slider খুলনা শিক্ষা সামাজিক যোগাযোগ সঙ্গী

Gram Bangla

 

 

 

 

 
স্টাফ রিপোর্টার,ঝিনাইদহঃ
ছাতিয়ানতলা চুড়ামনকাঠি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজলুর রহমানকে (৫০) কে পিটিয়ে আহত করেছে ওই স্কুলেরই ছাত্ররা। পরে শিক্ষকরাও হাবিবুর রহমান (১৩) নামে সপ্তম শ্রেনীর এক ছাত্রকে পেটান। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার বিকেলে শহরতলীর চুড়ামনকাটি বাজারে। আহত প্রধান শিক্ষক ও ছাত্র দু’জনই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। প্রধান শিক্ষক ফজলুর রহমান বলেন,‘রোববার বেলা ১২টার দিকে স্কুল ফাঁকি দিয়ে সাতটি ছেলে এবং দুটি মেয়ে পাশে মুন্সি মেহেরুল্লাহ রেলস্টেশনে বসে গল্প করছিল। এসময় শিক্ষকরা তাদের ধরে স্কুলে নিয়ে আসেন। পরে ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকদের মোবাইল ফোনে খবর দিয়ে ডেকে আনা হয়। ফাঁকিবাজ শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের হাতে তুলে দেওয়া হয় স্কুলের পক্ষ থেকে।’

তিনি বলেন, ‘বিকেল সাড়ে তিনটের দিকে ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের বাড়িতে ফেরার জন্য প্রধান শিক্ষক চুড়ামনকাটি বাজার থেকে বাসে উঠে। এ সময় স্কুলের ছাত্র রুনু, পলাশ, আলামিন, সুমন, শুভ, রিঙ্কুসহ ৮-৯ জন বাসটিতে উঠে পড়ে। তারা শার্টের কলার ধরে আমাকে মারপিট করতে করতে বাস থেকে নামায়। এ সময় স্থানীয় লোকজন আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।’এদিকে, প্রধান শিক্ষককে পেটানোর ঘটনার জের ধরে স্কুলটির শিক্ষকরা সপ্তম শ্রেনীর ছাত্র হাবিবুর রহমানকে ধরে পিটুনি দেন বলে স্থানীয়রা জানান। সেও জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তবে তার আঘাত গুরুতর নয় বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছেন। হাবিবুর রহমানকে ওই স্কুলের আরেক ছাত্র আলামিনের সঙ্গে হাসপাতালের বেডে বসে আড্ডা দিতে দেখা যায়।

ওই দুই ছাত্র দাবি করে, স্কুলের বাংলার শিক্ষক মোজাম্মেল মাদকাসক্ত। ওই শিক্ষক ছাত্রদের কাছ থেকে প্রায়ই দুইশ-পাঁচশ করে টাকা ধার নেন। কিন্তু পরে সেই টাকা আর ফেরত পাওয়া যায় না। ছাত্ররা এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের অভিযোগ দিলেও তিনি কোনো কিছু ব্যবস্থা গ্রহন করেননি। প্রধান শিক্ষক ঐ নেশা সেবন কারি শিক্ষক কে কেন ব্যবস্থা গ্রহন করেন এটা নিয়ে ও ছেলেদের সাথে প্রধান শিক্ষকের দ্বন্দ চলছিল। রোববারও ঐ শিক্ষক ছেলেদের কাছে টাকা চেয়েছিল। বিষয়টি প্রধান শিক্ষক কে জানালে প্রধান শিক্ষক ছেলেদের মারপিট করে।এই কারণে তারা প্রধান শিক্ষককে পিঠিয়েছে বলে দাবি করে।

তবে প্রধান শিক্ষক ছাত্রদের কাছ থেকে এই ধরনের কোনো অভিযোগ পাননি বলে দাবি করেন।হাসপাতালের পুরুষ পেইং ওয়ার্ডে দায়িত্বরত ইন্টার্ন ডাক্তার সাফাত বিন শাহ বলেন, ‘আহত শিক্ষক ও ছাত্রের শরীরে সামান্য আঘাত লেগেছে।’ ঘটনার পর স্কুলটিতে গিয়েছিলেন কোতোয়ালি থানার এসআই আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে। ছাত্র আলামিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য খানায় ডেকে নেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *