গোপালগঞ্জে দীর্ঘ ১০ বছর পরেও সংস্কার হয়নি করপাড়া ইউনিয়নের একটি পাকা রাস্তা

Slider খুলনা সামাজিক যোগাযোগ সঙ্গী

Gopalgonj Photo-1

 

 

 

 
এম আরমান খান জয়,গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার করপাড়া ইউনিয়নের একটি পাকা রাস্তা নির্মানের ১০ বছর পার হলেও অদ্যাবধি কোন সংস্কার বা মেরামত করা হয়নি।
সদর উপজেলার করপাড়া বাজার থেকে বনগ্রাম বাজারের ওই রাস্তাটি ব্যবহার করে ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ স্কুল-কলেজ, হাট-বাজার. থানা, উপজেলা ও জেলা শহরে যাতায়াত করে থাকে। অথচ রাস্তাটি প্রতি বছর নতুন নতুন গর্ত ও খাদ তৈরী হতে হতে বর্তমানে একেবারেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রাস্তাটির সব টুকু অংশে সিলকোট উঠে গেছে সাববেজ খসে গেছে ম্যাকাডাম বেরিয়ে গেছে। যে কারনে রাস্তাটিতে কোন যানবাহন তো চলছেই না বরং পায়ে হেটে চলাও অনেকটা মুশকিল হয়ে পড়েছে।
যাতায়াতের এ দূর্ভোগ এড়াতে রাস্তাটির দ্রুত সংস্কারের জন্য এলাকাবাসী এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।
রাস্তাটির সুফল ভোগী এলাকাবাসী আব্দুস সালাম মোল্লা, কাওছার ফকির, সরদার লুৎফর রহমান, মোঃ ফিরোজ আহম্মেদ, মোঃ সিরাজ মোল্লা, মোঃ সোনা মিয়া শেখসহ আরো অনেকে জানিয়েছে, তারা ওই রাস্তাটি সংস্কারের জন্য বছরের পর বছর প্রতি মাসে রাস্তার নির্মানকারী প্রতিষ্ঠান এলজিইডি অফিসে মৌখিক আবেদন জানিয়েছে কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
এলজিইডি গোপালগঞ্জ সদর অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত অর্থ বছরে মন্ত্রনালয় থেকে অধিক ক্ষতিগ্রস্থ এবং ১০ বছরেও মেরামত হয়নি এমন রাস্তার তালিকা চেয়ে ছিল। অফিস থেকে সেই তালিকায় ওই রাস্তার নাম দেয়া হয়ে ছিল। কিন্তু মন্ত্রনালয় থেকে পাশ না হওয়ার কারনে রাস্তাটি মেরামত করা সম্ভব হয়নি।
করপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিকদার শাহ সুফিয়ান বলেন, ওই রাস্তাটি চলাচলের একে বারেই অনুপযোগী হয়ে গেছে। তিনি নিজেও জরুরী প্রয়োজনে এমনকি ইউনিয়ন পরিষদে ওই রাস্তাটি ব্যবহার করে আসতে পারেন না। ৫ কিলোমিটার ঘুরে অন্য রাস্তা দিয়ে তাকে পরিষদে আসতে হয়। তিনি রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এলজিইডি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা প্রকৌশলী বাদল চন্দ্র কির্ত্তনীয়া বলেন, তার কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলীদের দিয়ে রাস্তাটি সরোজমিনে পরিদর্শন করিয়েছেন। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পেশ করে দ্রুত রাস্তাটির সংস্কার করার ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি।
রাস্তাটির সংস্কার করার ব্যাপারে কথা বললে এলজিইডি গোপালগঞ্জ’র নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে ফজলুল হক বলেন, রাস্তাটি হয়তোবা গুরুত্বপূর্ন নয় তাই সংস্কার হচ্ছে না। ওই রাস্তাটির নির্মান কালে তিনি এলজিইডি গোপালগঞ্জের সহকারী প্রকৌশলীর দ্বায়িত্বে থাকা সত্তেও রাস্তাটির গুরুত্বের প্রশ্ন তোলেন। তিনি আরো বলেন রাস্তাটি হয়তোবা তৎকালীন সময়ে স্থানীয় কোন সরকারী বড় কর্মকর্তা ক্ষমতা খাটিয়ে করিয়ে ছিলেন। আর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ১০ বছর পরেও রাস্তাটি যদি এলাকার জন্য গুরুত্বপূর্ন হয়ে থাকে তবে তা এমনিতেই সংস্কার হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *