ঢাকা : আগামী অর্থবছরের বাজেট নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) যৌথ পরামর্শক সভায় মূসক বা ভ্যাট নিয়ে হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে।
আজ রোববার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত সভায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের বাহাস হয়। বেলা পৌনে একটায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আলোচনা চলছিল।
যৌথ পরামর্শক সভায় উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের সভাপতি আবু মোতালেব। আলোচনার একপর্যায়ে তিনি বলেন, ভ্যাট নিয়ে এনবিআর ও এফবিসিসিআই কাজ করছে। কিন্তু ফলাফল শূন্য। ভ্যাট নিয়ে ব্যবসায়ীদের প্রশিক্ষণের কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি। শুধু লোক দেখানো প্রশিক্ষণ হয়েছে। প্রশিক্ষণ না দিলে চকবাজারের ব্যবসায়ী কীভাবে জানবে ইলেকট্রনিক ক্যাশ রেজিস্ট্রার কী?। তিনি আরও বলেন, ‘ভ্যাট নিয়ে এফবিসিসিআই যে প্রস্তাব দিয়েছে, তা আশা করি মেনে নেবেন। তা মানা না হলে আমরা আন্দোলন করব।’
এ সময় আবু মোতালেবের বক্তব্য থামিয়ে দিয়ে বক্তব্য দেন অর্থমন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আট লাখ নিবন্ধিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ভ্যাট দেয় ৩২ হাজার। মোতালেবের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনার ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে কতজন ভ্যাট দেন? আপনারা খামাখা আন্দোলন করছেন। যদি আপনারা আন্দোলন করেন, তবে আমরা তা দমন করব।’
এ সময় অন্য ব্যবসায়ীরা অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদ করে হইচই শুরু করে দেন। অনেকে আন্দোলন দমনের হুমকি দেবেন না—এমন কথাও উচ্চকণ্ঠে বলতে থাকেন।
সম্মেলনকক্ষে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। ব্যবসায়ীদের শান্ত করতে এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আশা করি ব্যবসায়ীদের ন্যায্য দাবি মেনে নেবেন। আপনারা ধৈর্য ধরেন। এখনো আমরা বাজেট দেখিনি। জানি না বাজেটে কী আছে।’
এরপর এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান বলেন, ‘এই ধরনের পরামর্শক সভায় আন্দোলনের হুমকি দেবেন না। এ ধরনের ফোরামের একটি আলাদা ভাষা আছে।’
এরপর পরিস্থিতি শান্ত হয়। এখন নিয়মিত কার্যক্রম চলছে।