আজ শনিবার খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে স্বামীর বিরুদ্ধে এভাবে অভিযোগ করেন স্ত্রী। স্বামীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে করা স্ত্রীর মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর রেফায়েত উল্লাহকে চট্টগ্রাম পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে নাছরিন আক্তার দাবি করেন, চট্টগ্রামে থাকতে রেফায়েত উল্লাহ স্বর্ণের বারের ব্যবসা করতেন। তাঁকে এসব খারাপ পথ থেকে ফিরিয়ে আনতে বহুবার চেষ্টা করেও তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করার পর তাঁকে ও তাঁর ভাইদের হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, স্বামীর আচরণের কারণে তাঁদের ১৮ বছরের সংসার ভেঙে যাচ্ছে। দুই মেয়েকে জোর করে তাঁর কাছ থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে। মেয়েদের কথা চিন্তা করে তিনি দীর্ঘদিন স্বামীর নির্যাতন সহ্য করেছেন। অবশেষে আদালতের আশ্রয় নিয়েছেন।
গত ১৮ জানুয়ারি খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেন নাছরিন আক্তার। ওই মামলায় ৭ মার্চ রেফায়েত উল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। আগামীকাল রোববার এই মামলায় শুনানির দিন ধার্য আছে।
নাছরিন আক্তার অভিযোগ করেন, হাজিরা দেওয়ার জন্য রেফায়েত উল্লাহ খুলনায় পৌঁছে মামলা তুলে নিতে তাঁকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন।
এসব অভিযোগের ব্যাপারে বক্তব্য জানতে মুঠোফোনে রেফায়েত উল্লাহ চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তাঁর ভাষ্য, ‘নাছরিনের কিছু কর্মকাণ্ড ধরে ফেলার পর তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এ কারণে সে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে।’ মামলা দায়েরের পর গত ২৩ জানুয়ারি নাছরিনের বাড়ির ঠিকানায় তালাকনামা পাঠিয়ে দিয়েছেন বলে দাবি তাঁর।