মন্ত্রণালয়ের তথ্যে বলা হয়েছে- সুনামগঞ্জ, সিলেট, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জ ?ও মৌলভীবাজার জেলার হাওর এলাকা বন্যাকবলিত হওয়ায় উক্ত জেলাসমূহের ৬২টি উপজেলার ৫১৮টি ইউনিয়নের ৮,৫০,০৮৮টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাহাড়ি ঢলে ও অতিবৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যায় ২,১৯,৮৪০ হেক্টর জমির বোরো ফসল সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়াও ১৮,২০৫টি ঘর-বাড়ি আংশিক বা সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের জন্য ইউনিয়নভিত্তিক ৫৮৭টি কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর মানবিক সহায়তার জন্য ২৮শে এপ্রিল পর্যন্ত ৩,৯২৪ টন জিআর চাল, নগদ ২ কোটি ১৮ লাখ ৯৭ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ভিজিএফ হিসেবে জুলাই/১৭ পর্যন্ত ৩ লাখ ৩০ হাজার পরিবারের মধ্যে বিতরণের জন্য ৩২ হাজার ৩৪০ টন চাল এবং নগদ ৪৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসৃজন কর্মসূচির আওতায় ৯১ হাজার ৪৪৭ জন সুবিধাভোগীর জন্য ৮২ কোটি ৭ লাখ ৬৮৯ টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। এ পর্যন্ত উপরোল্লিখিত কর্মসূচির মাধ্যমে সর্বমোট ২৭১ কোটি ৫ লাখ ৯৮ হাজার ৩৪৯ টাকার ত্রাণ সামগ্রী বরাদ্দ করা হয়েছে। বরাদ্দকৃত ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ৬টি জেলায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব/ যুগ্ম সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাকে সরজমিনে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম, তদারকি ও সমন্বয়ের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকার মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ও বন্যা পরিস্থিতি সংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্যাদি আদান প্রদানের জন্য অত্র মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে দুটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করা হয়েছে যা ২৪ ঘণ্টা খোলা আছে। এখানে ৬ জন উপসচিব পর্যায়ক্রমে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। এ ছাড়াও জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ত্রাণ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সার্বক্ষণিক খোলা রাখা হয়েছে। এ মন্ত্রণালয়, অধীনস্থ সংস্থাসমূহ এবং হাওর অঞ্চলের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা/কর্মচারীর সকল প্রকার ছুটি বাতিল করা হয়েছে।