স্থানীয় বাসিন্দা ও থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাউফল পৌরসভার এক ব্যক্তির স্ত্রীর সঙ্গে চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের এক তরুণের (২০) প্রেমের সম্পর্ক হয়। আর দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে এ সম্পর্ক চলে।
ওই নারী বলেন, এক বছর আগে তিনি তার প্রেমিককে বিয়ে করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও থানা-পুলিশ সূত্র জানায়, এ বিয়ে গোপন রেখে ওই নারী প্রথম স্বামীর ঘরেই বসবাস করতে থাকেন। চলতি এপ্রিলের ১৩ তারিখ তিনি প্রথম স্বামীর বাড়ি ছেড়ে দ্বিতীয় স্বামীর বাড়িতে গিয়ে ওঠেন।
ওই নারী বলেন, এখন প্রথম স্বামীর সঙ্গে তাঁর কোনো প্রকার সম্পর্ক নেই। তিনি দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গেই সংসার করবেন।
দ্বিতীয় স্বামীও ওই নারীকে নিয়ে সংসার করতে অনড়। তিনি বলেন, ওই নারী তাঁর বৈধ স্ত্রী।
কিন্তু প্রথম স্বামী তা মানতে নারাজ। তিনি বলেন, ওই নারী এখনো তাঁর স্ত্রী। যেকোনোভাবেই তিনি তাঁকে ফেরত নিতে চান।
এ ঘটনায় প্রথম স্বামী গত বুধবার বাউফল থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। ওই দিন বিকেলেই ওই নারী ও তাঁর দ্বিতীয় স্বামীকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে আসে। প্রথম স্বামী তাঁর স্ত্রী হিসেবে ওই নারীকে ফিরিয়ে নিতে চান। কিন্তু কোনোভাবেই ওই নারী প্রথম স্বামীকে স্বামী হিসেবে মানতে নারাজ।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আযম খান ফারুকী বলেন, প্রথম স্বামীর দায়ের করা অপহরণ মামলায় ওই নারী ও তাঁর দ্বিতীয় স্বামীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ পটুয়াখালী আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত দুজনকেই কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এখন আদালতই সিদ্ধান্ত দেবেন ওই নারীর প্রকৃত স্বামী কে।