এম আরমান খান জয়,গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় এক মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারের উপর হামলা ও মারপিটের ঘটনায় মামলা করে বিপাকে পড়েছেন ওই পরিবার। আদালতে মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় বিচারক আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করলেও অদৃশ্য কারনে পুলিশ রয়েছে নির্বিকার।
পুলিশের সহযোগীতায় আসামী পক্ষ মিথ্যা মামলা দিয়ে বর্তমানে হয়রানি করছে বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে। নিরুপায় হয়ে সাংবাদিকদের কাছে এমন এক লিখিত অভিযোগ করেছেন গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বাসুড়িয়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আইদুল হক মোল্লা।
অভিযোগে জানা গেছে, গত ২৪ মার্চ বীর মুক্তিযোদ্ধা আইদুল হক তাঁর বাবার মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ মাহফিলে জন্য বাজার-সদাই করে গ্রামের বাড়িতে ফেরেন। এর কিছুক্ষণ পরেই মৃত্তিকাবাটি গ্রামের জাহাঙ্গীর ফরাজি, শাহিন ফরাজি ও হাসান ফরাজিসহ ৮/১০ জন বাড়িতে ঢুকে মিলাদ মাহফিলে দাওয়াত না করার অভিযোগ এনে আইদুল হককে মারপিট, বাড়ি ঘরে ভাংচুর ও মিলাদের বাজার-সদাই নষ্ট করে ফেলে। এ সময় টুঙ্গিপাড়া থানার পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
ওই দিন রাত ৯টার দিকে হামলাকারীরা একত্রিত হয়ে পুনরায় ওই বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় মুক্তিযোদ্ধা আইদুল হক, স্ত্রী রোজিনা বেগম, মেয়ে ও জামাইকে পিটিয়ে আহত করে তারা। গুরুতর আতহ অবস্থায় আইদুল হককে প্রথমে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনালের হাসপাতল ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় ২৮ মার্চ মুক্তিযোদ্ধা আইদুল হক মোল্লার স্ত্রী রোজিনা বেগম গোপালগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। বিচারক আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন। বর্তমানে আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও অদৃশ্য কারনে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আইদুল হক মোল্লা বলেন, গ্রেফতারী পরোয়ানা জারির পর আমি টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাথে দেখা করলে তিনি আমার সাথে অসৌজন্য মূলক আচরন করেন। এছাড়াও আসামী পক্ষের নিকট থেকে উৎকোচ গ্রহন করে আমিসহ আমার পরিবারের ৫ সদস্যের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়। আসামী পক্ষ প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও মিথ্যা মামলার ভয়ে এখন আমাকে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। এছাড়াও আসামী পক্ষ প্রতিনিয়ত আমার পরিবারে সদস্যদের হুমকী দিয়ে যাচ্ছে।
এ ব্যপারে টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি জানান, গ্রেফতারী পরোয়ানার আদেশ পেলে আসামী যেখানেই থাকুক আমরা খুঁজে বের করার চেষ্টা করবো। আসামীদের প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াবার কোন সুযোগ নেই।