হাফিজুল ইসলাম লস্কর :: সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার কুশিয়ার নদীর উপর দিয়ে ব্রিটিশ আমলে নির্মিত ফেঞ্চুগঞ্জ কুশিয়ারা রেলসেতুটি আজও স্বমহিমায় মজবুত অবকাঠামো ও শক্ত বিত্তি নিয়ে কুশিয়ারার প্রবল স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে আছে।
ঐতিহাসিক এ রেল সেতুর মাধ্যমেই সারা বাংলাদেশের সাথে সিলেটের রেল যোগাযোগ নিরবিচ্ছিন্ন হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে ১৯৭১ সালে এ রেল সেতুর দক্ষিন থেকে মুক্তিবাহিনী যুদ্ধ করে ইলাশপুর সেতুর পাশে থাকা পাকবাহিনীর সাথে। মুক্তিবাহিনীর শেলের আঘাতে ইলাশপুর সেতুতে থাকা রেলের বগি ঢালা নদীতে ধ্বংস হয়। যা আজও ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে।
দেশী বিদেশী পর্যটক ও ঐতিহাসিকবীদগন এ দুই সেতু দেখে নিজের জানার ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করে তুলেন । কেউ কেউ আবার অদম্য সাহসী হয়ে সেতুতে গিয়ে ছবি ও সেলফি তুলে নিজের আত্মতৃপ্তি ও জানাকে স্মৃতিময় করে তুলেন এবং বন্ধুদের সাথে ছবি শেয়ার করেন।
এছাড়াও ভ্রমনপ্রিয় ফুর্তিবাজ যুবকেরা বিকাল বেলা সেতুর পাশে বসে সেল্ফি, আড্ডা, খোলা গলায় গান। আগেকার লোকজন রেল সেতু দিয়েই হেটে বাজারে আসতেন, তবে কয়েকটি দুর্ঘটনায় মানুষ সচেতন হয়ে এখন খেয়া নৌকা দিয়েই পারাপার করেন।
এ সেতুর নিচে ও চতুর্দিকে বড় বড় পাথরের প্রতিরক্ষা দেওয়া। তাই এখানে প্রচুর মাছ মিলে। জেলেরা দিন রাত এখানে মাছ ধরেন। সম্প্রতি এ সেতুতে সংস্কার ও নতুন রঙ করার ফলে সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাওয়ায় পর্যটক ও সাধারন দর্শকের হ্রদয় আকৃষ্ট হয়েছে।