গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জ ছালেহিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো: জালাল উদ্দীনের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও অপকর্মের সংবাদ বিভিন্ন জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশ ও এলাকাবাসীর মানববন্ধন ও জেলা প্রশাসকের কাছে স্বারকলিপি প্রদানের পর অবশেষে পদত্যাগ করেছেন গোপালগঞ্জ ছালেহিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো: জালাল উদ্দীন। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এলাকার মানুষ খুশিতে মিষ্টি বিতরন শুরু করে। একজন আরেকজন কে গালে তুলে মিষ্টি খাইয়ে দেন।
সম্প্রতি বিভিন্ন জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন পত্রিকায় “গোপালগঞ্জ আলীয়া মাদ্রাসার অধ্যাক্ষের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ : এলাকায় লিফলেট বিতরন” “সংবাদ প্রকাশের জের : মাদ্রাসার অধ্যাক্ষের দৌড়ঝাপ শুরু গোপালগঞ্জ আলীয়া মাদ্রাসার অধ্যাক্ষের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ : এলাকার মানুষ ফুঁসে উঠেছে” “মাদ্রাসার অধ্যাক্ষের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার সমাবেশ ডেকেছে ব্যবসায়ীরা গোপালগঞ্জ আলীয়া মাদ্রাসার অধ্যাক্ষের বিরুদ্ধে পোষ্টারিং ও মাইকিং : এলাকার মানুষ ফুঁসে উঠেছে” “মাদ্রাসার অধ্যাক্ষের অপসারনের জন্য সমাবেশ করেছে ব্যবসায়ীরা গোপালগঞ্জ আলীয়া মাদ্রাসার অধ্যাক্ষের বিরুদ্ধে পোষ্টারিং ও মাইকিং : ব্যবসায়ীদের সমাবেশ অনুষ্ঠিত” এই শিরোনাম সংবাদ প্রকাশের পর পরই গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন ব্যবস্থা নেয়।
প্রশাসনিক তদন্ত শুরু হওয়ার সাথে সাথে বেরিয়ে আসছে গোপালগঞ্জ ছালেহিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো: জালাল উদ্দীনের ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও অপকর্ম।
সালেহিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো: জালাল উদ্দীন পদত্যাগ করেন। সোমবার বিকালে তিনি পদত্যাগ করেন। মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মো: মোস্তাফিজুর রহমান কে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এদিকে অধ্যক্ষের দুর্নিতী তদন্ত শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। বিভিন্ন পত্রিকায় গোপালগঞ্জ ছালেহিয়া কামিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ জালাল উদ্দীনের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশিত হলে গোপালগঞ্জের সব মহলে আলোচনা শুরু হয়।
গোপালগঞ্জ ছালেহিয়া কামিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যাক্ষ মো: মোস্তাফিজুর রহমান সাবেক অধ্যক্ষ জালাল উদ্দীনের পদত্যাগের খবর নিশ্চিত করে বলেন, জেলা প্রশাসন চিঠি দিয়ে তাকে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দিয়েছেন। বর্তমানে ৪ ম্যাজিষ্ট্রেটের নের্তৃত্বে মাদ্রাসার হিসাব নিরিক্ষা শুরু হয়েছে।
গোপালগঞ্জ ছালেহিয়া কামিল মাদ্রাসার একাধিক শিক্ষক জানান, সাবেক অধ্যাক্ষ দুর্নিতী ও অনিয়মের মাধ্যমে মাদ্রাসা থেকে কোটি টাকা আতœসাৎ করেছেন। পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর অধ্যক্ষের অপসারনের দাবীতে ১৩ এপ্রিল মানববন্ধন বিক্ষোভ মিছিল প্রদর্শন ও জেলা প্রশাসক বরাবর স্বারক লিপি দেওয়া হয়।
গোপালগঞ্জ ছালেহিয়া কামিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ মো: জালাল উদ্দীন পদত্যাগের কথা শিকার করেছেন। তবে তিনি এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি।