চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী বলেন, ডিবি পুলিশের আট সদস্যের বিরুদ্ধে করা মামলাটি তদন্তের জন্য আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রামের একজন সহকারী পুলিশ সুপারকে (এএসপি) দিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
বাদী অভিযোগে উল্লেখ করেন, গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের রাউজানে একটি পরিবারের সঙ্গে বাদীর পাল্টাপাল্টি মামলা রয়েছে। মিথ্যা অভিযোগে মামলা দিয়ে বাদীকে হয়রানি করতে না পেরে পুলিশের সঙ্গে যোগসাজশ করে ২০১৬ সালের ২১ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম আদালত ভবনের মূল ফটকের দোকান থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় নগরের লালদীঘি এলাকায় ডিবি কার্যালয়ে। সেখানে বাদীর কাছ থেকে পুলিশ সদস্যরা তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা না দিলে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেন। একপর্যায়ে তাঁকে মারধর করেন তাঁরা। এমনকি বাদীর মানিব্যাগে থাকা ৩ হাজার ৯০ টাকা ও একটি মুঠোফোন কেড়ে নেন ওই পুলিশ সদস্যরা। পরে মিথ্যা মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে বাদীকে কারাগারে পাঠানো হয়। গত ১৬ মার্চ এ মামলায় জামিনে মুক্তি পান। এ কারণে মামলা করতে বিলম্ব হয়। মামলায় চারজনকে সাক্ষী রাখা হয়েছে।
চাঁদা দাবির অভিযোগ অস্বীকার করে চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক কেশব চক্রবর্তী বলেন, মঈন উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে জাল স্ট্যাম্প বিক্রি করে আসছিলেন। তাঁর কাছ থেকে দুই হাজার জাল স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষায় এগুলো জাল বলে প্রমাণিত হয়েছে। তদন্ত শেষ পর্যায়ে তাঁর বিরুদ্ধে করা মামলায় শিগগিরই অভিযোগপত্র দেওয়া হতে পারে। মামলা থেকে নিজে বাঁচার জন্য পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে মামলা করেছেন।