তিনি বলেন, মন্ত্রিসভা শোক প্রকাশ করে এবং তার রুহের মাগফেরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে। লাকীর কর্মময় জীবনের গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরে মন্ত্রিপরিষদসচিব বলেন, ১৯৫৬ সালে ঢাকার আরমানিটোলায় জন্মগ্রহণ করেন লাকী আখান্দ। তিনি শিশু বয়সেই রেডিও শিল্পী হিসেবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে মাত্র ১৫ বছর বয়সে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে যোগদান করেন। কিংবদন্তি এ সংগীতশিল্পীর সুরারোপিত গান মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্বুদ্ধ করত, আমরাও শুনেছি ওই সময়ে। স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময়ে দেশের সংগীতের নতুন ধারা প্রবর্তনের লক্ষ্যে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেন এ শিল্পী। আশির দশকে সারগামের ব্যানারে প্রথম অ্যালবাম প্রকাশিত হয় লাকী আখান্দর।
তার উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে, স্বাধীনতা তোমাকে নিয়ে, এই নীল মণিহার, আবার এল যে সন্ধ্যা, কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে, আমায় ডেকো না, আগে যদি জানতাম, মা মনিয়া, লিখতে পারি না কোন গান, রীতিনীতি জানি না ইত্যাদি। এগুলো খুবই জনপ্রিয় গান, ওনার লেখা ও সুর করা। তিনি দেড় হাজারের বেশি গানে সুরারোপ করেন এবং বাংলা গানে এক নতুন ধারার সূচনা করেন বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিব। ১৯৮০ সালে সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকিরের ঘুড্ডি চলচ্চিত্রে সংগীত পরিচালনায় বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন এ শিল্পী।