ফ্রান্সের নির্বাচনী ব্যবস্থা অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম পর্বে যদি কোনও প্রার্থী ৫০ শতাংশ ভোট অর্জন করতে ব্যর্থ হন, তাহলে দ্বিতীয় পর্বের নির্বাচনে অংশ নেবেন শীর্ষ দুই প্রার্থী।
৯৬ শতাংশ ভোট গণনার পর দেখা যাচ্ছে, ২১.৪ শতাংশ ভোট পাওয়া উগ্র-ডানপন্থী এন এফ পার্টির নেতা মারি লে পেনের সাথে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ২৩.৯ ভাগ ভোট পাওয়া ম্যাক্রন।
দ্বিতীয় দফার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৭ই মে।
মি. ম্যাক্রন এর আগে কোন নির্বাচনে অংশ নেননি।
প্রথম দফার নির্বাচনে নিজের বিজয়ের পর তিনি বলেছেন, দেশকে অনিশ্চয়তা আর ভীতি থেকে পরিবর্তনের পথে নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছাই তার জয়ের কারণ।
“গতমাসে এবং আজকেও ফরাসি জনগণের ভয়, অনিশ্চয়তা আর ক্ষোভের কথা শুনতে পাচ্ছি আমি, সেইসাথে পরিবর্তনের প্রত্যাশার কথাও। আর আজকের নির্বাচনে বড় দল দুটোকে প্রত্যাখ্যানের অন্যতম কারণ এটি”। নির্বাচনের পর এক বক্তব্যে তিনি বলেন।
মারি লে পেনও এই বিজয়কে ঐতিহাসিক বলে বর্ণনা করেছেন। নিজেকে ফরাসি জনগণের প্রতিনিধি দাবি করে তিনি বলেছেন, তাদেরকে স্বাধীন করার সময় এটি।
“আমি জনগণের প্রার্থী। সত্যিকারের দেশপ্রেমিকদের প্রতি আমি ভোটের আবেদন জানাচ্ছি, তাদের শেকড় যেখানেই প্রোথিত থাকুক ,যেখানেই তাদের উৎস হোক বা প্রথম দফায় তারা যাকেই ভোট দিয়ে থাকুক না কেন” বলেন মিজ লে পেন।
বিজয়ী দুজনই মধ্য-ডানপন্থী ফ্রাসোয়া ফিলন এবং চরম-বামপন্থী জঁ-লুক মেলেশনের সাথে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেছেন।
প্রথম দফার নির্বাচনের পর নির্বাচনের অপর দুই প্রার্থী সমাজতন্ত্রী প্রার্থী বেনোয়াঁ হ্যামন এবং ফ্রাসোয়া ফিলন মি. ম্যাক্রনকে সমর্থন দিয়েছেন।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাসোয়া ওলাদ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, ইমানুয়েল ম্যাক্রনকে।
সেইসাথে ইউরোপিয় নেতারাও তাদের সমর্থন জানিয়েছেন মধ্যপন্থী এই নেতাকে।
জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেলের মুখপাত্র মি ম্যাক্রনকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রশংসা করেছেন তার ইউরোপের সমর্থনে অবস্থানের জন্য।